বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিভিল ড্রেসে ক্লাসে ঢুকে হাফেজ ছাত্রকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:১৬ পিএম

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রকে মাদ্রাসার ক্লাস চলাকালে সিভিল ড্রেসে ক্লাসরুমে ঢুকে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে আটক করার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ওই মাদ্রাসা ছাত্রের নাম মেহেদি হাসান (১৭)। সে আশাপুর সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। সে একই উপজেলা কোড়কদি ইউনিয়নের জনৈক আমিরুল মোল্যার পুত্র। মেহেদি হাসান একজন হাফেজ এবং সে ইমামতিও করেন। এভাবে সহপাঠীদের সামনে তাকে হাতকড়া পড়িয়ে আটকের ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুখালী থানার এএসআই সাহেব আলী মেহেদি হাসানকে এভাবে ক্লাস থেকে আটক করে। এসময় তার সাথে থানার দালাল হিসেবে পরিচিত এক ফর্মা (তথ্য আদানপ্রদানকারী) ছিলো।
মধুখালী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গাজনা ইউনিয়নের লাউজনা গ্রামের জনৈক বিল্লাল বিশ্বাসের দায়ের করা একটি মামলার আসামী হিসেবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদি হাসানকে আটক করেছেন। তিনি জানান, গত ৩০ এপ্রিল বিল্লাল বিশ্বাসের মেয়ে অন্তরা খাতুনের (১৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। আর এ ঘটনার একমাস সতের দিন পর মধুখালী থানায় বিল্লাল বিশ্বাস এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১৯।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর মাত্র সপ্তাহখানেক আগে বিয়ে হয়েছিলো ১৪ বছরের কিশোরী অন্তরার। তার বর বিত্তশালী ছিলো তবে অন্তরার বয়সের বেশ ব্যবধান ছিলো। কিশোরী অন্তরা বিয়ের সপ্তাহখানেক পর বাপের বাড়ি এসে আর ফিরে যেতে চায়নি। তাকে শ্বশুরালয়ে যেতে পরিবার থেকে চাপ দিলে বিষয়টি তাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম মেহেদি হাসানকে মোবাইলে জানায়। যাতে তার মা বাবা তাকে চাপ না দেয় সেজন্য ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করেন।
অন্তরার লাশ উদ্ধারের পর মেহেদি হাসানই গ্রামবাসীকে মোবাইলে তার সাথে অন্তরার এসব কথাবার্তার বিষয়টি অবগত করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পরের দিন চতরার বিলের ফাাঁকা মাঠে নিয়ে ইমাম মেহেদি হাসানকে বেদম মারপিট করে গলায় রশি ঝুঁলিয়ে ফেলে অন্তরার পরিবারের লোকজন । ইমাম মেহেদি হাসানকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় । প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে গ্রামে ফিরে এলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য মাতুব্বরেরা বিষয়টি সালিশ মিমাংসা করে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন