বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

মসনবী শরীফ

মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.

কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:২১ এএম

১৮৫৭. বলল : রে, মোর সখের তোতা, প্র্রাণের তোতা মোর
কী হলো হায়! এমন দশা ঘটল কেন তোর ?

১৮৫৮. ফাঁকি দিয়ে চলে গেলি রে মোর গানের পাখি !
ব্যথার ব্যথি, প্র্রাণের সাথী কেমনে আমি থাকি ?

১৮৫৯. মন জুড়ান, প্র্রাণ ভুলান গানের রাজা তোতা
তুই যে আমার প্র্রাণ-কাননের শান্তি সজিবতা।

১৮৬০. বাদ্্শা সোলায়মানের কাছে থাকলে এমন পাখি
অন্য প্রাখি নিত না সে এই পাখিকে রাখি।

১৮৬১. চলে গেল প্র্রাণের তোতা হায়রে কপাল হায় !
পেয়েছিলাম সস্তাতে তায় হারানু সস্তায়।

১৮৬২. জিহ্বারে! তুই আমার লাগি বড়ই ক্ষতিকর
তুই তো কথক, দোষ দিতে হয় তথাপি তোর’ পর।

১৮৬৩. জিহ্বা ওরে! তুই-ই আগুন, -তুইই শস্যাগার
আর কত কাল জ্বালাবি তুই এ শস্যভান্ডার!

১৮৬৪. তোর কথাই শ্রবণ করে যদ্যপি প্র্রাণ কাঁদে
সে কাজটিই করে তবু পড়িয়া তোর ফাঁদে।
১৮৬৫. রে জিহ্বা! তুই এক অফুরান সম্পদ-ভান্ডার
আবার তুই-ই কারণ সকল দুঃখ বেদনার।

১৮৬৬. শিশ দিয়ে তুই বদি করিস যেমন ফাঁদের জালে
শান্তনা দিস তেমনি আবার মুছিবতের কালে।

১৮৬৭. রে ‘বে-আমান’ আমায় আমান কখন দিবি আর
তাক করে তো থাকিস সদা শায়ক শত্রুতার।

১৮৬৮. তুই-ই নিছিস হরণ করে তোতায়, এবার শোন্্
যুলুম মাঠে কমিয়ে দে তোর চারণ-বিচরণ।

১৮৬৯. এসব অভিযোগের জবাব দে রে! ত্বরা করে
অথবা বল্্- খুশিতে মন কেমনে যাবে ভরে।

১৮৭০. হায়রে কোথায় আঁধার হরা আলোর মশাল মোর
আর কতো দূর শীতল খোশবু ভরা ভোর।

১৮৭১. প্রঙ্খী তুমি সুদূর থেকে এলে আমার নীড়ে
সূচনা ও সমাপ্তি মোর কেবল তোমায় ঘিরে।

১৮৭২. নাদান মানুষ ব্যাকুল ভারি নিতে দুখের স্বাদ
দলীল দেখ- “লা-উকসিমু” থেকে “ফী কাবাদ’’।

১৮৭৩. ভুলেছিলাম দুখ-যাতনা তোমার আনন দেখে
পুতঃ ছিলাম ময়লা ফেনা আবর্জনা থেকে
অবগাহি তোমার সরস নির্ঝরিনী নীরে
সেই শুভ ক্ষণ মিলন তিথি আসবে কবে ফিরে!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন