বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ডিগ্রি কলেজের সামনে গাছের সাথে গলায় দড়ি বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় মো. কাওছার হোসেন (২৭) নামের মাদকাসক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন এক কলেজছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে। গলায় দড়ির সাথে ঝুলন্ত লাশের ভাজ করা হাটু মাটির সাথে ছিল। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মণগাঁও-ইল্লা গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলের লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গতকাল ভোরে বার্থী কলেজের সামনের একটি চাম্বল গাছের সাথে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে লাশের পরিচয় সনাক্ত ও তার স্বজনদের খুজে বের করে
নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত কাওছার বার্থী ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচ.এস.সি পাস করে সরকারি গৌরনদী কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়। এরপর বন্ধু বান্ধবের প্ররোচনায় সে ড্যান্ডি নামের এক ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত মাত্রায় ড্যান্ডি গ্রহণের ফলে কিছুদিন না যেতেই কাওছার মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। মাঝে মধ্যে সে তার পিতা মাতা ও স্বজনদেরও মারধর করত। স্বজনরা তার মানসিক রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি নেশা ছাড়াতে তাকে রিহ্যাবে পাঠায়। এতেও সে নেশা ছাড়তে পারেনি। নেশার জন্য উন্মাদ হয়ে ৩/৪ মাস পূর্বে সে বাড়ির পাশের একটি চালতা গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। স্বজনরা দেখতে পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। ফলে ওই সময় প্রাণে বেঁচে যায় কাওছার। গত বুধবার সন্ধ্যায় নেশার জন্য উন্মাদ হয়ে সে তার বাবাকে ধারালো দা নিয়ে ধাওয়া করে। কোনক্রমে পালিয়ে সে ছেলের হামলা থেকে বাঁচে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কাওছারের মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের মধ্যে কোন সন্দেহ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নেয়ার আবেদন করায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন