শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পানিতেই গেল ৪ কোটি টাকা

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:২০ এএম

রাজশাহী নগরীর বুলনপুর থেকে সোনাইকান্দি এলাকা পদ্মার ভাঙন হতে রক্ষার জন্য পদ্মা নদী খননের কাজ সময়মত শেষ করতে না পারায় এ বাবদ খরচের প্রায় চার কোটি টাকা পানিতেই গেল। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৬ কোটি টাকার মধ্যে ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ করে ২ হাজার ৭০০ মিটার খনন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাকী প্রায় ১২ কোটি টাকা ফেরত গেছে মন্ত্রণালয়ে। মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর বুলনপুর থেকে সোনাইকান্দি এলাকা পদ্মার ভাঙন হতে রক্ষায় একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ প্রকল্পের আওতায় পদ্মার ছয় কিলোমিটার চর কেটে নাব্য ফেরাতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয় চলতি বছরের এপ্রিলে। তখন পদ্মায় পানি ছিল কম।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ড্রেজারে কাজ চলে প্রায় আড়াই মাস। কিন্তু দেরিতে শুরু হওয়া কাজ অর্ধেক শেষ হওয়ার আগেই উজান থেকে পানির ঢল আসা শুরু হয়। এতে ফুলেফেঁপে ওঠে পদ্মার বুক। ফলে কাজ গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের সামনে অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ড্রেজার দিয়েই কাজ চলছিল। কিন্তু পদ্মায় আগাম পানি চলে আসায় কাজ গুটিয়ে নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে জুনে প্রকল্প মেয়াদও শেষ হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে মন্ত্রণায়লয়ে।

এদিকে, সরকারি টাকার অপচয় ঠেকাতে নদী শাসনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মেয়াদের দিকে সতর্ক নজর রাখা জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের পানি বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ‚-তত্ত¡ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. চৌধুরী সারোয়ার জাহান সজল বলেন, অসময়ে কাজ শুরু করায় গচ্চা গেছে প্রকল্পটির মোটা টাকা। তাই সরকারি টাকার এমন অপচয় রোধে নদী শাসনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে উপযুক্ত সময় বেছে নেয়া জরুরি। তা না হলে সরকারের কেবল টাকাই খরচ হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলছেন, ‘উজান থেকে আসা পলিতে পদ্মার বুক অন্তত ২০ মিটার করে ভরাট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মাত্র ৬ কিলোমিটার ড্রেজিং করে প্রবাহ ফেরানোর চেষ্টা কেবলই লোক দেখানো। তার পরও ইতোমধ্যে সেখানে যে চার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে তা পুরোটাই পানিতে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন