বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাজারে শীতের আগাম সবজি

ঢাকা-চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বাজারে শীতের আগাম সবজি আসা শুরু করলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। অবশ্য নতুন শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলার সরবরাহ শুরু হওয়ায় কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে মাছের বাজারে আগের মতোই ইলিশের দাপট অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে দাম বেড়েছে মুরগির দাম। অন্যদিকে চিনি তেলে পড়েছে করের প্রভাব। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে শুধু শিমের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো এ সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মুলাও। আগের সপ্তাহের মতো ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি আগাম বাজারে আসায় দাম চড়া। তবে আর কিছুদিন গেলেই এসব সবজির দাম কমে যাবে। ইতিমধ্যে শিমের দাম কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এসব সবজির পাশাপাশি অন্য সবজির দামও কমে যাবে। শীতের আগাম সবজির চড়া দামের সঙ্গে নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে লাউ। ছোট আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা পিস, যা এক সপ্তাহে আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
তবে কিছুটা কমেছে করলা, পাকা টমেটো ও গাজরের দাম। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি, যা গত ছিল ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তি রয়েছে বরবটি, বেগুন, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিংগা, কাকরল, ঢেঁড়সের। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা, ঝিঙা, ধুন্দল ৪০-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির চড়া দামের মধ্যে নতুন করে দাম বেড়েছে মুরগির। সাদা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১২৫ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০-২৩০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগি আগের মত ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
প্রায় এক মাস ধরে রাজধানীর মাছের বাজার অনেকটাই ইলিশের দখলে। সব বাজারেই ভরপুর মিলছে বড় ইলিশ। এরপরও কমছে না অন্য মাছের দাম। বাজার ভেদে ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি। আর পিস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্র হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে। দুই সপ্তাহ ধরেই বড় ইলিশ এমন দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এক মাস আগে এসব ইলিশ দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়।
এদিকে বাজারের তেল ও চিনির ওপর কর বাড়ানোর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চিনির দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর অনুমোদন প্রক্রিয়াও প্রায় চ‚ড়ান্ত। বাজেটে মূল্য সংযোজন করের (মূসক/ভ্যাট) কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩ টাকা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড তাদের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।
ঢাকার বাজারে এখন খোলা চিনি প্রতি কেজি ৫৮-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেটজাত চিনির দর কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা। কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, তারা এখন ৫৩-৫৪ টাকা কেজি দরে খোলা চিনি বিক্রি করছে, যা মাসখানেক আগেও ৫০ টাকার নিচে ছিল। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) বলছে, এক মাসে চিনির দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন