বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপনের ধুম লেগেছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হলেই দল বেঁধে কৃষক ছুটে চলে মাঠের প্রাণে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে তারা রোপা আমন ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ জমিতে পানি দিচ্ছেন কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, কেউবা চারা রোপন করছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক বীজ তলা তৈরীর কারনে চারার সংকট নেই। ফলে অতিরিক্ত চারা পুরন করতে পারে বন্যা কবলিত এলাকার ঘাটতি।
এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাত হওয়ায় পানি সেচ ছাড়াই এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। এখানকার কৃষকরা জুলাই মাসের শেষে এই রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে। উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ জুড়ে সবজু ধানের কচি চারায় মাঠ ভরে উঠেছে। জেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নে সরোজমিনে দেখা যায়, রোপা আমন ধানের জমি চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রের যুগে প্রয়োজনের তাগিদে পাওয়ার টিলারের পাশা পাশি গরুর লাঙ্গল দিয়ে কিছু পরিমাণে জমি চাষ করছে কৃষক।
চাষী মোতালেব হোসেন, হাবিবুর রহমান, মোস্তফা, সিরাজ,শফিকুল ইসলাম, রিপন, রফিকুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাই এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকেরা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে রোপা আমন ধান রোপন করছেন। তারা আরো জানায় পানি সেচ না লাগায় এ অঞ্চলের কৃষক অনেকটা কম খরচেই রোপা আমন ধান চাষ করতে পারছে। চারা বিক্রির ব্যাপারে তারা বলেন, এবছর ধান চারার সংকট নেই। ব্রি-১১ও ব্রি ৫২ ধানের বিজ তলাও ভাল হয়েছে। তারা আরো বলেন, এ বছর এলাকায় চারার চাহিদা কম থাকায় এ চাহিদার অতিরিক্ত চারা বন্যা কবলিত এলাকার ঘাটতি পুরন করতে পারে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান, এবছর উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৭ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানে চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এর মধ্যে উপশী জাতীয় ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন