ঢাকার সাভারে আশুলিয়ায় গভীর রাতে পৃথক ঘটনায় এক গার্মেন্টকর্মীসহ দুই তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। উভয় ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উত্তর গাজীরট ভূইয়াপাড়া এলাকার ফজল ভূইয়ার মালিকানাধীন বাড়ি ও পরিত্যক্ত কারখানায় পৃথক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার উভয় ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গার্মেন্টকর্মী তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শেরপুর জেলার সদর থানার সাতমাড়িয়া গ্রামের মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে কাইয়ূম ও পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মুসোরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তুহিন আলম। তুহিন ফজল ভূইয়ার বাড়ির ম্যানেজার।
এছাড়া অপর তরুনী ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হচ্ছে- বি-বাড়িয়া জেলার কসবা থানার গানপুর গ্রামের আলী হোসেনর ছেলে সারফিন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম জানায়, ১৯বছর বয়সী গার্মেন্টকর্মী ওই তরুনীকে দীর্ঘদিন যাবত ফোন করে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল কাইয়ূম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। কিন্তু ওই তরুনী এতে সাড়া না দেওয়ায় উত্তর গাজীরচট এলাকার ফজল ভূইয়ার বাড়ির ম্যানেজার তুহিনের সাথে পরিকল্পণা করে কাইয়ূম। পরে রাতে ওই তরুনী কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে মুখে ক্লোরোফর্ম মিশ্রিত রুমাল দিয়ে অচেতন করে ওই বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর রাতভর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
পরে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করলে রাতেই উত্তর গাজীরচট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক বলেন, কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় ২০বছর বয়সী এক তরুনীকে ডেকে ফজল ভূইয়ার মালিকানাধীন পরিত্যক্ত কারখানায় নিয়ে যায় সারফিন নামে এক যুবক। পরে আরেক জনের সহযোগিতায় ওই নারীকে সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে। পরে রাতে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই সারফিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ আর জানায়, উভয় ধর্ষণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিন জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন