শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাতারে ইমাম নিয়োগে সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৭ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যের পারস্য উপসাগরের একটি দেশ কাতার, ১১৪৩৭ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট একটি দেশ। তাতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি মসজিদ। বেশিরভাগ মসজিদেই ইমাম-মুয়াজ্জিন হিসেবে বাংলাদেশি হাফেজ-আলেমরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে এ দেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চোখ এবারও বাংলাদেশের দিকে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।

আসন্ন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে বাংলাদেশি হাফেজ-আলেমদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে আশায় থেকেছেন, কবে আসবে সেই পরীক্ষা! অবশেষে সেই কাক্সিক্ষত মুহূর্ত এখন সবার সামনে।

আবেদন করবেন যেভাবে
১. মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় মসজিদে (কবরস্থান) আগামী ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ থাকবে। এ বছর কোনো ফরম বিতরণ হবে না, কাগজপত্র জমা দিয়ে সিরিয়াল নম্বর নিতে হবে। ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ১৬ (অক্টোবর) বুধবার পর্যন্ত ইন্টার্ভিউয়ের মূলপর্ব ধাপে ধাপে চলবে। এ সময় কোনো নতুন নাম রেজিষ্ট্রেশন হবে না।
২. আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই স্বীকৃত আলেম অথবা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে। সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়সী হতে হবে। অবশ্যই কোরআনে হাফেজ হতে হবে এবং তাজবিদসহ কোরআন তিলাওয়াত হতে হবে। পাশাপাশি সুন্দর কণ্ঠ ও ভালো তিলাওয়াতের দক্ষতা থাকতে হবে। এ ছাড়া যাদের জামেয়া বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে, তাদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৩. আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট অথবা জন্মসনদের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি উত্তীর্ণ প্রার্থীকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে সত্বায়ন করে জমা দিতে হবে। সবারই মৌখিক ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। মৌখিক ইন্টারভিউ ও সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীকে জীবনবৃত্তান্ত কাগজ ও স্বাস্থ্যসনদ জমা দিতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক হিফজ কম্পিটিশনের কৃতকার্জ হওয়ার সার্টিফিকেট (জরুরি নয়) আনতে হবে।

আবেদনকারীকে যেসব প্রস্তুতি নিতে হবে
(ক) পরিক্ষার বিষয়বস্তু কুরআন তেলাওয়াত (হিফজ) আজান আর ইকামাতের ক্ষেত্রে মক্কা-মদীনার আজান অনুসরণ করা যেতে পারে। আজান ও ইক্বামাতের ক্ষেত্রে মক্কা-মদীনার যে কোনো আজান বা ইক্বামাত অনুসরণ করলেই হবে ইনশাআল্লাহ
(খ) তাজবীদ- কুরআনে কারীমের উচ্চারণ সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা, কুরআন শুদ্ধ করে পড়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই কুরআনে সে বিষয়ে আমাদেরকে আদেশ করেছেন। তাই এটা অন্যতম একটা বিষয়।
(গ) লাহান ঠিক রেখে ইয়াদ- পুরো ৩০ পারাই কুরআনের হক আদায় করে ইয়াদ করার চেষ্টা করা, মনে রাখতে হবে যে যে কোনো কম্পিটিশনেই ইয়াদের বিষয়টা থাকে সবার উর্ধ্বে।
(ঘ) সুউচ্চ আওয়াজ- গলাটা ছেড়ে পড়তে হবে, আওয়াজটাকে একেবারে উচু করে। কারো যদি “ইয়াদ-তাজবীদ-লাহান’ এই ৩ টা জিনিসই ভালো হয়, কিন্তু সে মিনমিন করে আস্তে আস্তে পড়ে, দেখবেন যে এতে তার পড়ার মূল সৌন্দর্যটাই হারিয়ে যাবে, তাই এবিষয়ে সতর্ক থাকা চাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন