উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানা ছয় সপ্তাহব্যাপী প্রচার অভিযান শুরুর আগে গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গভর্নর জেনারেল জুলি প্যায়েতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি।
কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার অটোয়ায় গভর্নর জেনারেল জুলি প্যায়েতের বাসভবনের বাইরে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রুডো। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২১ অক্টোবর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত চার বছর যাবত আমরা অনেক কাজ করেছি। যদিও সত্যি কথা হলো, আমরা সবে মাত্র যাত্রা শুরু করেছি।’ ট্রুডো আরো বলেন, ‘আগের কনজারভেটিভ সরকারের সংকোচন ও ছাঁটাইয়ের ব্যর্থ নীতিতে ফিরতে চান কি না; কানাডার জনগণ এবার তা-ই ঠিক করবেন। তবে আমার বিশ্বাস দেশবাসী আমাদের অবদান সব সময়ই মনে রাখবেন। আর যার প্রতিক্রিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে জানা যাবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কানাডার উন্নয়নমূলক নীতির জন্য যতই প্রশংসা হোক না কেন, নিজ দেশে একাধিক কেলেঙ্কারির কারণে ট্রুডোর ভাবমূর্তি বর্তমানে এক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাছাড়া জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রুডো নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টির ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি। যদিও ১৯৩৫ সালের ভোটে দেশটিতে প্রথম বার ক্ষমতায় আসা দলটি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে হারেনি।
জনগণকে এক 'স্বর্ণালি দিনের স্বপ্ন' দেখিয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। যেখানে তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল, নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, সমপ্রেমীদের অধিকার এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন