ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবাজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করার দুইদিন পর তিনি এ ইঙ্গিত দেন। বুধবার ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন এই ঘোষণা দেন তখন তার পাশে স্ত্রী মেলানিয়া ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, কী করা যায় দেখি, কী হয় দেখি। আমার মনে হয় ইরানের ব্যাপারে একটা সম্ভাবনা আছে এবং আমি মনে করি উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারেও- এ দেশ দুটি নিয়ে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায় থেকে আমরা কাজ করছি। আমার মনে হয় ইরানের সঙ্গে বিরাট একটা সম্ভাবনা আছে। সেখানকার জনগণ অত্যন্ত ভালো। আমরা সেখানে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছি না। আশা করি ইরানের সঙ্গে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি। যদি এ ধরনের চুক্তি হয় তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো। আমি মনে করি তাদের একটা চুক্তি করা উচিত। ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পর পর তেলের দাম শতকরা দুই ভাগ কমে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে জন বোল্টন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন এবং তিনি যুদ্ধর জন্য সব ধরনের প্ররোচনা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান সম্পর্কে এমন বক্তব্য দিলেও তিনি তেহরানের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি ইরানকে আবারো অভিযুক্ত করে বলেছেন, তেহরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদেরকে পরমাণু অস্ত্র বানানোর সুযোগ দেব না; তারা কখনো পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে না। তিনি দাবি করেন- যদি তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার চিন্তা করে থাকে তাহলে তারা এটা ভুলে যাক কারণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। খুব, খুব বিপজ্জনক। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন