শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নির্যাতনের অভিযোগে সউদী রাজকন্যার কারাদণ্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:৫৪ পিএম

সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সৎ বোন রাজকন্যা হাসা বিনতে সালমানকে (৪৩) ১০ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে ফ্রান্সের এক আদালত। এক পাইপ মিস্ত্রিকে মারধর করার দায়ে বৃহস্পতিবার রাজধানী প্যারিসের এক আদালত তাকে এই দণ্ড দিয়েছে। তার দেহরক্ষী রানি সাইদিকেও ৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, তাদেরকে যথাক্রমে ১০ হাজার ইউরো ও পাঁচ হাজার ইউরো অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে। খবর দ্য টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্যারিসের এভিনিউ ফচ এর সাত তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পাইপ মিস্ত্রি আশরাফ ইদকে মারতে নিজের দেহরক্ষী সাইদিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও অবৈধ আটকের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার আইনজীবী এমানুয়েল ময়নি জানান, হাসা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এই রায় ব্যাখ্যাতীত।

২০১৬ সালে ইদকে মারধরের পরপরই সউদী আরব ফিরে যান হাসা। এরপর আর কখনো ফ্রান্সে ফেরত যাননি। তার আগে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজকন্যা। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন হাসা ও ইদ উভয়ই। তবে ইদকে উদ্ধৃত করে তার আইনজীবীরা জানান, রাজকন্যার তাকে কুকুরের মতো মারার নির্দেশ দিয়েছিল। ১৫ মিনিট ধরে মার খান তিনি। ইদ আরো বলেন, তাকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে রাজকন্যার পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করা হয়।

তবে শুনানিতে উপস্থিত থাকা হাসার দেহরক্ষী সাইদি জানান, ঘটনার দিন হাসার ফ্ল্যাটে একটি বেসিন মেরামতের কাজ করছিলেন ইদ। এক পর্যায়ে তিনি গোপনে হাসার ছবি তোলার চেষ্টা করে ধরা পড়ে যান। তখন নিজের নিয়োগদাতার সাহায্যে এগিয়ে যান সাইদি। তিনি বলেন, আমি রাজকন্যার সাহায্যের ডাক শুনে সেখানে যাই ও দেখতে পাই যে, তারা একজন আরেকজনের হাত ও মোবাইল ফোন চেপে ধরে রেখেছে। আমি তখন ওই মিস্ত্রিকে চেপে ধরে সরিয়ে আনি। আমি তখন জানতাম না তিনি কী করার চেষ্টা করছিলেন।

হাসার আইনজীবী জানান, ইদকে সরিয়ে আনার পর রাজকন্যা অন্য কক্ষে আশ্রয় নেন। ইদের ফোন কেড়ে নেন সাইদি। তাতে হাসার দু’টি ভিডিও ধারণ করা ছিল। ইদ জানান, তিনি বেসিনের আয়নার নিজের কাজের ছবি তোলার সময় দুর্ঘটনাবশত রাজকন্যার ছবি তুলে ফেলেছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান, ছবিগুলো প্রকাশ কররলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সাইদি।

হাসারর আইনজীবীরা বলেন, রাজকন্যার রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। গত আট বছরে কেউ তার ছবি তোলেনি। আশরাফ ইদ তার দেশের শত্রু হতে পারতো। তিনি ওই ছবিগুলো আইএসের কাছে বিক্রি করতে পারতো। নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজকন্যার পরিচয় সবসময় গোপন রাখা হয়। তার কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন