বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ড্রেন তো নয় যেন মশা উৎপাদনের কারখানা

সিংগাইরে অপরিকল্পিত ড্রেনেজে চরম জনদুর্ভোগ

ডিএম রিয়াজুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে দেশ। অথচ মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর ড্রেনেজ যেন মশা তৈরির কারখানায় পরিনত হয়েছে। গত ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার জনবসতি। রাস্তা-ঘাটগুলি মোটামুটি ভালো থাকলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকার ফলে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার ভাগার দেখা যায়। এতে করে যেমন দুর্গন্ধ তেমনি হচ্ছে মশার বংশ বিস্তার। এযেন দেখার কেউ নেই। গত ২০০৬ সালে যদিও জিওপি ও এমএসপির অর্থায়নে ১১শ’ মিটার পাকা ড্রেন করা হয়। ড্রেনগুলি নির্মানের সময়ই নিম্নমানের ইট, বালু, খোয়া, সিমেন্ট ব্যবহার করা হলে তখনই স্থানীয় জনগন আপত্তি তোলেন। কিন্তু তৎকালীন ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় জনগনের আপত্তি ধামাচাপা পড়ে যায়। প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে তাদের স্বার্থ হাছিল করে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল উত্তোলন করে নেয়। যদিও ড্রেনের ওপর সøাব বসানোর কথা ছিল। তড়িঘড়ি করে ২/৪টি সøাব বসিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন। আর এতে করে জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন রিক্সা, ভ্যানসহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বয়োবৃদ্ধ লোকজন হরহামেশাই পতিত হচ্ছে দুর্ঘটনায়। হতাহত হচ্ছে অনেকেই। বর্তমানে ড্রেনের অভ্যন্তরে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এটি এখন অনেকেই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। বাসাবাড়ির লোকজন দোকানদারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন তাদের ময়লা আবর্জনা তারা ড্রেনেই ফেলছে।

এ ড্রেনগুলো পরিস্কার করার কোন উদ্যোগ নেই। নেই কোন জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। নেই কোন মশা নিধনের উদ্যোগ। পৌর এলাকার এ ড্রেনগুলো যেন স্থানীয়দের কাছে বিষফোড়া হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় জনগন ড্রেনগুলো দ্রæত সংস্কারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়সহ উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এ ব্যাপারে সিংগাইর পৌর মেয়র এড. খোরশেদ আলম ভুইয়া (জয়) বলেন, পুরাতন ড্রেনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দাতা সংস্থা সিআরডিপি’র প্রায় ২০ কোটি টাকার অর্থায়নে নতুন ড্রেন নির্মানের প্রস্তুতি চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন