শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

কাশ্মীর ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আর কত যুগ অপেক্ষা করতে হবে?

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হবার পর পূর্বতন লীগ অব নেশন্স-এর আদলে গঠিত হয় ইউনাইটেড নেশন্স তথা জাতিসংঘ। উদ্দেশ্য একই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠির মানবাধিকার নিশ্চিত করা। প্রায় এই সময়কালের ভারতীয় উপমহাদেশ পৌনে দু’শ’ বছরের সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে মুক্তি পায় ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি দেশ, স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে। 

এর মধ্যে ভারত একটি অবিচ্ছিন্ন জনপদে অবস্থিত ভৌগোলিকভাবে পরস্পর সংলগ্ন রাষ্ট্র হলেও পাকিস্তান ছিল ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত জনপদসমূহ নিয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। ফলে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই কিছু সমস্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন একাধিক জনপদ নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠনের দৃষ্টান্ত প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে পাকিস্তানের এমন কিছু সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়, যা অন্যান্য কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রায় থাকেই না। এর সাথে যোগ হয় এমন কিছু সমস্যা, যা ছিল তদানীন্তন পাকিস্তানের জন্য ছিল একেবারেই নজিরবিহীন।
পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ছিল পশ্চিম পাঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানসহ চারটি স্বতন্ত্র প্রদেশ এবং কাশ্মীর নামের একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশীয় রাজ্য (প্রিন্সলি স্টেট) যার প্রধান ছিলেন মহারাজা হরিসিং নামের হিন্দু শাসক।
এখানে উল্লেখ্য, যে আইন অনুসারে উপমহাদেশ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় সেই ১৯৪৭ সালের ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেস অ্যাকটের অন্যতম বিধান ছিল দেশীয় রাজ্যসমূহের প্রধানগণ তাদের ইচ্ছা মাফিক ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন অথবা স্বাধীন থাকতে পারবেন। সেই বিধান মোতাবেক হায়দরাবাদ, জুনাগড়, মানভাদার প্রভৃতি রাষ্ট্রের মুসলিম প্রধানগণ ভারত বা পাকিস্তান রাষ্ট্রে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন। কিন্তু ভারত সরকার তাদের এ ঘোষণার বিরোধিতা করে ঐসব দেশীয় রাজ্যের জনগণের অধিকাংশ অমুসলমান এই যুক্তি দেখিয়ে সৈন্য পাঠিয়ে ঐসব মুসলিম শাসিত এসব দেশীয় রাজ্য দখল করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।
অপরদিকে মুসলিম-অধ্যুষিত দেশীয় রাজ্যের হিন্দু প্রধান মহারাজা হরিসিং কাশ্মীরের ভারতে যোগদানের ঘোষণা দেন। যদিও কাশ্মীরের জননেতা ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান শেখ আবদুল্লাহ মনে প্রাণে নিজ জন্মভূমি কাশ্মীরের স্বাধীনতা কামনা করতেন, তবুও স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর পরিবারের সদস্যদের সাথে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকায় তার প্রভাবে তিনি কাশ্মীরের মহারাজা হরিসিং-এর কাশ্মীরের ভারতে যোগদানের বিরোধিতা না করে এ বিষয়ে রহস্যজনক নীরবতার পথ অবলম্বন করেন।
কিন্তুু কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগণ এ অবস্থার বিরোধিতা করে কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাশ্মীরের একাংশ মুক্ত করে ফেলতে সক্ষম হন, যা এখন আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিতি লাভ করেছে। ফলে বাস্তবত এখন তদানীন্তন কাশ্মীর রাজ্য আজাদ কাশ্মীর ও অধিকৃত কাশ্মীর এই দুই নামে বিভক্ত হয়ে আছে। তবে অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের জীবনে যে শান্তি নেই, তা স্পষ্ট। ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে কাশ্মীরের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
যে ভারত একদা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছিল, সেই ভারতে এখন ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই। ভারতে এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন বিজেপি নামের কট্টর সাম্প্রদায়িক হিন্দু রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা নরেন্দ্র মোদি, যিনি গুজরাটে মুসলিম-বিরোধী গণহত্যা চালিয়ে একদা ‘গুজরাটের কসাই’ বলে কুখ্যাত হয়েছিলেন।
তিনি (নরেন্দ্র মোদি) ভারতের একমাত্র মুসলিম প্রধান রাজ্য কাশ্মীরকে মুসলিম অধিবাসীদের জন্য কীভাবে নরকে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে কাশ্মীরে দলে দলে ভারতীয় সেনা পাঠিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন।
কাশ্মীরের মুসলমানদের আজকের এই দুরবস্থার জন্য প্রধানত বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী মনে করা হলেও এজন্য কাশ্মীরের সাবেক নেতা শেখ আবদুল্লাহকে কোনক্রমেই নির্দোষ মনে করা যায় না। কারণ তিনিই (শেখ আবদুল্লাহ) স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর পরিবারের সাথে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কারণে নিজের অজান্তেই কাশ্মীরের ভারতভুক্তিকে সমর্থন দিয়ে বসেন।
অবশ্য তার এই স্বাজাতি বিরোধী ভুলের খেসারত তিনি বেঁচে থাকতেও কিছুটা দিয়ে গেছেন। কাশ্মীরের স্বাধীনতার প্রতি তার সমর্থনের অপরাধে তার পারিবারিক বন্ধু পন্ডিত নেহরুর প্রধান মন্ত্রিত্বের আমলেই তাঁকে (শেখ আবদুল্লাহকে) ভারতে কারাভোগ করতে হয়। এরমধ্যে দিয়ে এ প্রবাদ-বাক্য সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, পাপ কোনদিন বাপকেও ছাড়ে না। তবে শেখ আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত ভুলের খেসারত এখন দিতে হচ্ছে শুধু তার পরিবারের অধস্তন পুরুষদেরই নয়, কাশ্মীরের সমস্ত স্বাধীনতাকামী জনগণকেই।
কাশ্মীরের এই সমস্যা ভারতের স্বাধীনতা প্রশ্নে আলোচনা বিরোধিতা করে এসেছে প্রতিবেশী মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র পাকিস্তান। এ সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘেও একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে কাশ্মীরের জনগণকে অবাধ গণভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমর্মে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। কিন্তু ভারতের অনাগ্রহ ও বিরোধিতার কারণে অদ্যাবধি জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হতে পারেনি। ফলে কাশ্মীর সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে এবং অদূর ভবিষ্যতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগণের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা পূরণ হবে এমন কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
কাশ্মীরের জনগণের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা এবং মানবাধিকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা এখন শুধু আর কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকেও এ সম্পর্কে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিসেল ব্যাচিলেট কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্কে এতদিনও কোন সন্তোষজনক সমাধান না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষের সাথে এনিয়ে আলোচনা করতে হবে। তবে তাঁর এই প্রস্তাবকে নিশ্চয়ই আমল দেবে না সে দেশটি, যেটি অন্যায়ভাবে কাশ্মীর দখল করে বসে আছে এবং কাশ্মীরের জনগণের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচিলেট শুধু কাশ্মীরে ভারত কর্তৃক মানবাধিকার লংঘনের বিষয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। ভারতের আসাম রাজ্যের যেসব মানুষ বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে আসামে বাস করছে তাদের নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়ার ব্যাপারেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচিলেট। এই তালিকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয়া হয়েছে যাদের, তাদের এই ইচ্ছাকৃত অন্যায় কার্য অবিলম্বে সংশোধন করারও দাবি জানিয়েছেন মিশেল ব্যাচিলেট।
তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচিলেট অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া এসব ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দানের প্রমাণ হিসেবে ভারতের নাগরিক পঞ্জির তালিকায় স্থান দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। নইলে এসব নিরীহ নির্দোষ ভারতীয় নাগরিক রাষ্ট্র বিহীন মানুষে পরিণত হয়ে পড়বেন, যা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচিলেট শুধু কাশ্মীর ও আসামের নাগরিকদের মানবাধিকার লংঘনের নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তিনি ভারতের কাশ্মীর ও আসামের সংশ্লিষ্ট জনগণ সম্পর্কেই তাঁর উদ্বেগ সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইনদের সম্পর্কে একইভাবে মানবাধিকার লংঘিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় তিনি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার জন্য শুধু ভারতের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উত্থাপন করেননি। যে দেশেই মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে, সেখানেই তিনি মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
মিয়ানমারে রাখাইন তথা রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি অবিচার ও নির্যাতন সম্পর্কে আমরা অতীতেও একাধিকবার লিখেছি। কারণ এরা তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে এমনিতে অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভারে সমস্যাগ্রস্ত বাংলাদেশের জন্য নতুনতর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ভারত কাশ্মীর ও আসামের জনগণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করলেও ভারতে লোক দেখানো হলেও একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণের সে ভাগ্যও হচ্ছে না। মিয়ানমার নামক দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। তাদের কাছে জনগণের মতামতের কোন মূল্য থাকার কথা নয় এবং বাস্তবে তা নেইও।
মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য আরেকটি দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে, সে দেশে শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত একজন নেত্রী রয়েছেন, যার কাছে মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি সুবিচার আশা করেছিলেন। তিনি একবার সচক্ষে ঐ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির এলাকা দেখতেও যান। তখন ঐ এলাকার দীর্ঘকাল ধরে বসবাসরত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ সম্পর্কে আশাবাদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মনে অসন্তোষ সৃষ্টির আশংকায় রোহিঙ্গা জনগণের মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা না বলার রহস্যজনক পন্থা অবলম্বন করাতে তাঁর শান্তি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। কিন্তু এরপরও এনিয়ে তিনি মুখ না খোলে মিয়ানমারের শাসন-ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সেনাবাহিনীর মন যুগিয়ে চলার পথ থেকে সামান্যও সরে আসেননি। অথচ শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী সুচীই অতীতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দাবির অপরাধে সেনা শাসকদের শাসনাধীনে দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হন।
আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচিলিটকে অভিনন্দন জানাই এ বিষয়ে তাঁর গভীর উদ্বেগ প্রকাশের জন্য। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্যাতিত জনগোষ্ঠির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুরাহায় পৌঁছার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তিনি ভারতের কাশ্মীর ও আসাম রাজ্যের এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা তথা রাখাইনের মানবাধিকার প্রশ্নে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও অদূর ভবিষ্যতে এ তিনটি জনগোষ্ঠির মানবাধিকার সমস্যার কোনো সন্তোষজনক সমাধান আসবে এমন ভরসা করতে পারছি না। কারণ এসব সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট নির্যাতিত জনগোষ্ঠির সঙ্গে আলোচনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন, জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণকারী বৃহৎ ও শক্তিশালী দেশসমূহের মধ্যে সে বিষয়ে বাস্তবে কোনো আন্তরিক আগ্রহ ও উদ্যোগের কোনো লক্ষণই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন