শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ছাত্রদলের কাউন্সিলে স্থগিতাদেশ নজিরবিহীন

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের স্থগিতাদেশকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ছাত্র্রদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নিয়েছেন। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই পারেন এই সিদ্ধান্ত নিতে, তিনি নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ লিগ্যাল। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে কোনোটাই বেআইনি হয়নি, সব কিছুই আইনসম্মত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে আইনজীবীদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিষয় কি হবে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি ছাত্র দলের বিষয়। ছাত্র দলের বিষয়ে তারা আলোচনা করছে। তাদের (ছাত্রদল) সিদ্ধান্ত তারা নেবে। আমরা বিএনপি এর সঙ্গে কোনো মতেই জড়িত নই। একই সঙ্গে বিএনপিকে পক্ষ করে আদালত যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে তার জবাব দেবে বলে জানান ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেমন আমাদেরকে পক্ষ করা হয়েছে। আমরা আমাদের উত্তরগুলো আদালতের কাছে যথা সময়ে দেবো। সেই ব্যবস্থা নেবো। জবাবগুলো দিবো। তবে ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত ছাত্র দলই নেবে, এখন যারা দায়িত্বে আছে তারাই বলবে।

বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন রেখে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সকলের অগোচরেই আদালতের এই স্থগিতাদেশ এসেছে। যেটা দ্যা প্রেসেস ইনসেলফ মিস্টিরিয়াস। বুঝা যায় এখানে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ আছে, হস্তক্ষেপ আছে বলেই এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যারা আছেন যারা নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের জবাবদিহিতা নেই তারা কী চান? তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কী গণতন্ত্রের একটা ন্যূনতম যে পরিস্থিতি-পরিবেশ থাকুক, না সেটা তারা চান না। দুঃখজনকভাবে তারা ব্যবহার করছেন আদালতকে। যেটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্রের জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আজকে বর্তমান সরকার যে একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করছেন, এই সংস্কৃতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেটা আমি মনে করি যে, অত্যন্ত ভয়াবহ একটা বিষয়।

বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকমের আইন-কানুন তৈরি করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বিগত নির্বাচনের সময়ে আপনারা দেখেছেন যে, কত জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছেন। কীভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হয়েছে যেটা আইনের মধ্যে একরকম আছে সেটাকে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আদালতকে দলীয়করণের দিকে নিয়ে যাওয়া-এটা দেশের জন্য ও জাতির জন্য শুভ কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদল একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা পরবর্তি নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে যাচ্ছে কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজকে কাউন্সিল স্থগিত করার মানে কী? আপনি পলিটিক্যাল পার্টির কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন- এটা নজিরবিহীন। আপনাদের মনে থাকা উচিত, ১/১১ ‘র পরে আমাদের দলের সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে কোর্টে গিয়েছিলো। কোর্ট ওই সময়ে পরিস্কার বলে দিয়েছিলো যে, কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমরা দেখেনি যে, পলিটিক্যাল পার্টির কার্যক্রমে আদালত যুক্ত হচ্ছে।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

দলের আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন, জয়নাল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ওমর ফারুক ফারুকী, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এবং সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন