শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আলোচনায় ছাত্রলীগ

নুর হোসেন ইমন | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ছাত্রলীগকে ঘিরে সাবেক নেতাদের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে নিজ হাতে ২ বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিতর্কিতদের পদায়নসহ একের পর এক অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আসতে থাকে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শোভন-রাব্বানীর কার্যক্রমে বিরক্তি প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এক সভায় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও। কমিটিকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ ও বিরক্তির মুখে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও কোনো সুসংবাদ মেলেনি শোভন-রাব্বানীর।

ইতোমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে ছাত্রলীগে নতুন নের্তৃত্ব নির্বাচন ও আগাম সম্মেলন নিয়ে। আসতে পারে ভারপ্রাপ্ত নের্তৃত্বও। শোভন-রাব্বানীর টানাপড়েনে এতদিন যেসব নেতা তাদের ঘিরে সময় পার করতেন, তারাও সরে পড়েছেন। ফলে নতুন সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত কার্যত স্থবির হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম। ছাত্রলীগকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন, সেই আলাপ-আলোচনায়ই সরগরম সবখানে।

একা শোভন-রাব্বানী : শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে বিতর্কের কয়েক দিনের মধ্যেই পাল্টে গেছে চিত্র। গাড়িবহরের পেছনে আর হোন্ডা নিয়ে প্রটোকল দিতে দেখা যাচ্ছে না সুবিধাপ্রাপ্ত নেতাদের। এখন আর বাসার নিচে দেখা মিলছে না শত শত নেতাকর্মীর ভিড়। প্রধানমন্ত্রীর নতুন সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত শোভন-রাব্বানীকে এড়িয়ে চলছেন সিনিয়র নেতারা। আর বিভিন্ন হল কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শোভন-রাব্বানীর অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়া নেতারা পরিচয় পাল্টাতে শুরু করেছেন।

জাবির উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে শোভন-রাব্বানী ৪ থেকে ৬ শতাংশ চাঁদা চেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলাম। গত ৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দেখা করে এই চাঁদা দাবি করেন দুই নেতা। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার পেয়েছে এমন কোম্পানির কাছ থেকে ভিসিকে টাকার ব্যবস্থা করে দিতেও বলেন তারা। এতে রাজি না হওয়ায় ভিসির সাথে রূঢ় আচরণ করেন ২ নেতা। জাবি ভিসি গণমাধ্যমকে বলেন, সেদিন শোভন ও রাব্বানী এ মেগা প্রকল্পে চাঁদা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করলে তারাও সহযোগিতা করবে এমন কথা বলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন কাজের জন্য এ বরাদ্দ। এর মধ্যে ৫টি আবাসিক হল নির্মাণের জন্য ৩৬৭ কোটি টাকার টেন্ডার চূড়ান্ত হয়েছে। এদিকে বারবার চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে এ বিষয় নিয়ে তার কাছে চিঠি লেখেন গোলাম রাব্বানী। চিঠিতে জাবির উন্নয়ন প্রকল্পে ছাত্রলীগ কর্তৃক ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়। সেখানে গোলাম রাব্বানী উল্লেখ করেন, ভিসি, তার স্বামী ও ছেলে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে কাজের ডিলিংস করে মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্য করেছে। যার প্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে।’ তবে ভিসির কাছ থেকে তারা ৪-৬ শতাংশ চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ইবিতে ছাত্রলীগের পদ বাণিজ্য : এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের কমিটি প্রদান করা হলেও সেখানে সাধারণ সম্পাদক হতে রাকিবুল ইসলাম রাকিব ৪০ লাখের বেশি টাকা ব্যয় করেন, এমন তথ্য তার এক অডিও রেকর্ডিং প্রকাশের পর প্রকাশ্যে আসে। রেকর্ডিংয়ে ব্যয় হওয়া টাকা ছয় মাসের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে বলে উল্লেখ করেন এ নেতা। ফোনালাপে আলোচিত এ নেতা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করেন। তবে গোলাম রাব্বানী এ কথোপকথন সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই উল্লেখ করে রাকিবকে এর জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।

প্রটোকল সমালোচনা : এদিকে প্রটোকল নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েন শোভন-রাব্বানী। সম্প্রতি সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে প্রটোকল দিতে বিমানবন্দরের ‘ভিআইপি লাউঞ্জে’ ঢুকে পড়ে কয়েকশ’ নেতাকর্মী। নেতাকর্মীদের অনেকেই চলে যান টারমাকে। সেখানে উড়োজাহাজের দরজায় গিয়ে পাখার সাথে লাগিয়েও সেলফি তোলেন শোভনের সাথে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম নেয়। এদিকে সাধারণ সম্পাদক নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে প্রচার করলেও তা হয়ে পড়ে কর্মীদের হাসিঠাট্টার খোরাক। চলতি মাসের ৮ তারিখ গোলাম রাব্বানীকে প্রটোকল দিতে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের চারটি কক্ষে তালা দিয়ে দেন রাব্বানীর অনুসারী নেতারা। আসন সঙ্কটের কারণে সেখানে প্রায় ৩২ জন থাকতেন।

ফোন ধরেন না, মেসেজ দিয়ে মিলে না উত্তর : শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা তৃণমূলের নেতাদের ফোন রিসিভ করেন না। ছাত্রলীগের ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যা ও উপলক্ষে শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেন কর্মীরা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা শোভন-রাব্বানী তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় অন্য নেতাদেরও ফোন ধরেননি। গুরুত্বপূর্ণ কাজে মোবাইল ফোনে না পেয়ে মেসেজেও সাড়া মেলেনি তাদের। এক কেন্দ্রীয় নেতা এ বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী আমরা বাড়িতে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে কোথাও যাওয়ার আগে নেতাদের জানিয়ে যাই। কিন্তু তাদের জানিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, গুরুত্বপূর্ণ কাজেও পিছে পিছে ঘুরে তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ফোন তো ধরেনই না।’

চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ : নেতাদের অভিযোগ দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্রলীগের পুরো চেইন অব কমান্ড ভেঙে দেন শোভন-রাব্বানী। রীতি অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে দায়িত্ব বণ্টন করে আসত ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে একদম প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের নেতাদের সাথে সেলফি তোলেন রাব্বানী। ছাত্রলীগ সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতার সাথে ছবি বা সখ্য প্রদর্শন করে সিনিয়র নেতারা আগে রাজনীতি করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য শাখাসমূহে সিনিয়র-জুনিয়র না দেখে সবার সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়ান গোলাম রাব্বানী। ফলে শীর্ষ নেতার সাথে ছবি তোলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ায় বিরক্ত সিনিয়র নেতারা। অন্যদিকে আগে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হলেও উপজেলা বা ইউনিয়ন কমিটির পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব পালন করত সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি। কিন্তু রীতি ভঙ্গ করে কয়েকটি উপজেলার কমিটিতে হস্তক্ষেপ করায় বিষয়গুলো নিয়ে জেলা পর্যায়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

‘ইসলামী ছাত্রলীগ’ সমালোচনা : এদিকে ধর্মনিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন হিসেবে ঐতিহ্য থাকলেও সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে পোস্টারিং করে ছাত্রলীগ। ঐ পোস্টার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা নিজেদের না বলে জানিয়ে ও কর্মসূচি থেকে সরে আসে শোভন-রাব্বানী কমিটি। পোস্টারের কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার না করে এতে হামদ-নাত পরিবেশন করার জন্য দাওয়াত দেয়া হয় জাগ্রত কবি-মুহিব খানকে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগকে ‘ইসলামী ছাত্রলীগ’ বলে তীব্র সমালোচনা করে। পরে সমালোচনার মুখে কর্মসূচিটি নিজেদের না বলে প্রচার চালায় তারা।

মধুর ক্যান্টিনের ঐতিহ্য ভঙ্গ : স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা-পরবর্তী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ ছাত্রবান্ধব সব কর্মসূচির পরিকল্পনা হতো মধুর ক্যান্টিন ঘিরে। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর মধুর ক্যান্টিনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করেন শোভন-রাব্বানী। ছাত্ররাজনীতির ‘আঁতুড়ঘর’ খ্যাত মধুর ক্যান্টিনে আড্ডা বাদ দিয়ে শোভন-রাব্বানী নিজের বাসা বা অন্য জায়গায় নেতাকর্মীদের সাথে মিলিত হতেন। ‘বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ’ আন্দোলনের মুখপাত্র রাকিব হোসেন বলেন, ‘শোভন-রাব্বানী মধুতে আসতেন মাঝে মধ্যে। নেতাকর্মীদের যে সময় দেয়ার কথা ছিল, তা তারা দেননি। আগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিনে কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেও এখন সেটা হয়ে গেছে নেতাদের বাসা-কেন্দ্রিক।’

কমিটি দিতে ব্যর্থতা : গত বছরের ৩১ জুলাই দায়িত্ব পেলেও শোভন-রাব্বানী কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেত ১৫ দফা আশ্বাস প্রদান করে ব্যর্থ হন। বিতর্কের মুখে ১০ মাস পর কমিটি ঘোষণা করা হলেও এতে বাদ পড়েন ত্যাগী ও বিগত কমিটিতে পদপ্রাপ্ত অনেক নেতা। কমিটিতে পদায়ন করা হয়, হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসার সাথে জড়িত ও চাকরিজীবী নেতাদের। ফলে কমিটি ঘোষণার পরপরই আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের একাংশ। তৃণমূলের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণে ১১১টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের মধ্যে কমিটি দেয়া হয় মাত্র ২টিতে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডনে কলেজসহ চার ইউনিটে সম্মেলন হলেও কমিটি দেয়া হয়নি।

ডাকসুতে ব্যর্থতা : এদিকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হলেও তাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কারণে ভিপি পদে কোটার নেতা নুরুল হক নুরের কাছে হেরে যান সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচন্ড আসন সঙ্কটের মুখে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গণরুমে দিন যাপন করলেও ডাকসুতে নিজের কক্ষে এসি লাগান রাব্বানী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এসি খুলে ফেলবেন বললেও তা খোলেননি। অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা গেস্টরুম, গণরুম বন্ধ করাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেননি নেতারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Shams Sumon ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
দুই ভাগিনার কপালে বাদাম বিক্রি ছাড়া কোনও পথ নাই
Total Reply(0)
Rasel Chowdhury ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
ষড়যন্ত্র রাজনীতির একটা বৃহদাংশ। যুগে যুগে রাজনীতিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ছিল, আছে,থাকবে। সময়, স্থান, কালভেদে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের কৌশল, মুখোশ পরিবর্তন করে। আপন মানুষ রূপে আবির্ভূত হয়ে তাদের স্বার্থের জাল বিস্তৃত করে।উদ্দেশ্য হাসিল করে অট্টহাসিতে মেতে উঠে। সব ধরনের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে,বিষদাঁত উপড়ে ফেলে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত করে শোভন-রাব্বানী এগিয়ে যাবে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে।
Total Reply(0)
Rasel Chowdhury ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
নেত্রী কমিটি দিয়েছে তাতেই কি এত ষরযন্ত্র? খন্দকার মোশতাক রুপি কিছু মানুষ এখনও নেত্রীর পাশে আছে যারা নেত্রীর সিদ্দান্ত কে সমোলচনা করছে। ভেবে দেখা উচিত।
Total Reply(0)
Hedayetul Islam ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
এরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে কিভাবে জাতি জানতে চায়??
Total Reply(0)
Tazul Islam Choduri ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
আরে ভাই ছাএলীগ ভেঙে গেলে এখানে খুসি হবার কি আছে , তারা যে খারাপ সবাই যানে আর নতুন যারা আশবে তারাও খারাপেই হবে আমি মনে করি মানুষের খুসি হবার কিছু নেই
Total Reply(0)
Mohammed Azam ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
এরা ছাত্রলীগের ইতিহাসে ব্যর্থ,কূলশিত,অপদার্থ, চাঁদাবাজ, নারীলোভী,লুটপাটের কারখানা,বহু আগেই এদের বিরোদ্বে ব্যবস্হা নেওয়া উচিত ছিল।
Total Reply(0)
Alamin Babu ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
খমতার জোরে কতো অপকর্মই না করেছে,খমতা যে চিরো কাল থাকেনা তা মনে রাখা উচিৎ
Total Reply(0)
Pushpo Kumari ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
বর্তমান কমিটি যে খারাপ তা তো অনেক আগেই পএিকায় এসেছিল।যতসব বিতর্কিত ব্যক্তি নিয়ে গঠিত কমিটি।
Total Reply(0)
Mostafizur Rahman ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
ছাত্রলীগের কাজ নিয়ে সমালোচনা হয় কারন তারা ভাল কাজ করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অনেক পারদর্শী।
Total Reply(0)
Nayem Islam ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
হ্মমতার গণেশ উল্টাইতে খুব বেশি সময় ও লাগেনা। এতো পা চাইটা ও কাজের কাজ খুব বেশি হইলো না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন