মাত্র কয়েকদিন আগেই সিলেট সফর করে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। সভাপতির দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ৩সেপ্টেম্বর সিলেটে এসেছিলেন তিনি।তার ছবি সম্বলিত বিল বোর্ড ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে যায় গোটা নগরী।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিপুল নেতাকর্মী নিয়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ঢোপ শুধু নয় উড়োজাহাজের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে যান সকল নিয়মনীতি ভাঙ্গে। সেখানে তারা সেলফি তোলেন, শ্লোগান দেন। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। আর ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন কোনোভাবেই ভিআইপি মর্যাদার কেউ নন। এ ছাড়া বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুমোদিত ব্যক্তির সঙ্গে দু-তিনজনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়ার নিয়ম নেই। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশমান হয়ে যায় সভাপতিময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ম ভাঙ্গার বেপরোয়া মানসিকতা। এখন নিয়মে আছে ‘ বাড়ে বন পুড়ে আগুনে। বড় দ্রুতই শেষ হয়ে গেছে সভাপতি শোভন ও সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ছাত্রলীগের পদ। আগামী সম্মেলন অবধি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বদলের সাথে সাথে সিলেটে শুরু হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন অপসারন। রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সিলেট সফরকালে তাকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতার সৌজন্যে লাগানো বেশ কিছু ব্যানার ফেস্টুন কে বা কারা অপসারণ করছে, এ ব্যাপারে অপসারণকারীদের ব্যানার অপসারণের কারন জিজ্ঞেস করলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন