শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিক্ষোভ করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’

ভিসি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্থ, তাই ছাত্রলীগের চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখেছে: আন্দোলনকারীরা

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:০৯ পিএম

আবারও আন্দোলনে নেমেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। রবিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি অমর একুশে, নতুন কলা ভবন, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন হয়ে মুরাদ চত্ত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রীক ছাত্র্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘প্রশাসন বলে আমরা নাকি উন্নয়ন কাজে বাধা দেই। তাহলে আমরা বলতে চাই যারা ৪-৬% চায় তারা কি আদৌ উন্নয়ন মুখি? আপনার কাছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ টাকার দাবি করেছে সেই আগস্টে আপনি এত দিনে কেন সেটা প্রকাশ করেন নাই। আপনি কেন এখন সেটা প্রকাশ করেন। এর দ্বারা আমরা বুঝি আপনিও একজন দুর্নীতিবাজ উপাচার্য।’
সমাজতান্ত্রীক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, আজকের এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করি নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনই আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আন্দোলনের মুখে তারা আমাদের ১ ও ৩ নম্বর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের বাকি দাবিও আপনাকে মেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ জাবি শাখার মুখপাত্র খান মুনতাসির আরমান বলেন, জাহাঙ্গীরনগরের এই দুর্নীতির করাল গ্রাস দেশের সবাইকে ছুঁয়ে গেছে। এই দুর্নীতি সবার সামনে উন্মুক্ত করতে সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের কল্যাণেই আমরা এই দুর্নীতির খবর জানতে পেরেছি। যার রেশ সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ আপনার কাছে টাকা চেয়েছে আপনি কেন এত দিন এই খবর প্রকাশ করেন নাই। কারণ মাননীয় উপাচার্য আপনি একজন মিথ্যাবাদী। আমরা যখন আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করি তখন আপনি আমাদের নামে মামলা করেন। কিন্তু আপনাকে তারা টাকার জন্য চাপ দিলো কিন্তু আপনি তার জন্য থানাতে একটা ডায়েরীও করেন নাই। কারণ আপনি নিজেইতো একজন দুর্নীতিবাজ।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৪-৬% কমিশন দাবি করেছে এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। কিন্তু এর আগে ছাত্রলীগের চাঁদার বিষয়টি জানতে গেলে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মরত দুজন সাংবাদিককে হেনস্তা করে ভিসি ও তার অনুগত শিক্ষকরা। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের সাথে কোন লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি।’
প্রসঙ্গত, ধারাবাহিক আন্দোলনে চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় তোপের মুখে হলস্থানান্তর ও অংশীজনের অংশগ্রণের ব্যাপারেও আন্দোলকারীদের দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় নেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া বুধবার আবারো আন্দোলনকারীদেও সাথে বসার কথা রয়েছে প্রশাসনের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন