আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হংকং। এবার চীনের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হংকংয়ে। শনিবার একটি শপিং মলে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসেন চীনপন্থি ও সরকার বা চীনবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এই সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষের পর্যায়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এদিকে, গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা আরো গণতন্ত্রের দাবিতে লণ্ঠন ও মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে পাহাড়ে মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার এই মানববন্ধন হয়। তারা শপিংমলে অবস্থান ধর্মঘটের পরিকল্পনাও করছেন। তিন মাসের বেশি সময় ধরে হংকংয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। প্রসঙ্গত, গত জুন থেকে প্রত্যার্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন গণতন্ত্রপন্থিরা। স¤প্রতি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিলটি বাতিল ঘোষণা করেছেন। তবে স্বায়ত্তশাসনের প্রতিশ্রুতি সত্তে¡ও হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন গণতন্ত্রপন্থিরা। ১৯৮৪ সালে স্বাক্ষরিত সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং এতে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ নীতি কার্যকর থাকবে। এই নীতির আওতায় চীনের জনগণ যে স্বাধীনতা পাবে না তা হংকংবাসীকে ভোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রোববার বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ‘সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণা অকার্যকর’, ‘হংকংকে রক্ষা কর’ সেøাগান লেখা ছিল। বিক্ষোভকারীরা ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা মৃত’, ‘হংকংকে স্বাধীন কর’ ইত্যাদি সেøাগান দেয়। এসময় অনেকের হাতে ব্রিটেনের পতাকা ছিল। জ্যাকি টিসাং নামে ২৫ বছরের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য যাতে আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করে সেই দাবি জানাতে আমি এখানে এসেছি।’ রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন