শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ বলেছেন, সর্বজনিন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সকল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দেশের উপজেলা পর্যায়ের হেলথ কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসকদের অর্ধেকের বেশি পদ খালি থাকে। যারা কর্মরত থাকেন তাদের একটি বড় অংশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এই পরিস্থিতিতে সর্বজনিন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ফিউচার অব হেলথ ইন্স্যুরেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড. মো. শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্সে’র পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯ ভাগ প্রদান করা হয়। যা জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) শুণ্য দশমিক ৯ ভাগ। স্বাস্থ্য ভাগের ৬৭ ভাগই রোগীদের পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। এরফলে বছরে ৩ দশমিক ৪ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যায়।
সেমিনারে জানানো হয়, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অর্জন ও এসডিজি লক্ষামাত্রা সামনে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে)’ চালু করেছে। এসএসকে একটি পাইলট প্রকল্প।
এই কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইল জেলার ৩টি উপজেলায় (কালিহাতি, ঘাটাইল, মধুপুর) দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের ৮৭টি ভর্তিযোগ্য রোগের বিনামূল্যে আন্ত:রোগী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই কর্মসূচি উক্ত জেলার সদর উপজেলা ব্যতীত অবশিষ্ট ৮টি উপজেলায় সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলটিং সফল হলে সারাদেশে এই কাজ সম্প্রসারণ করা হবে। তবে সেটি সুদূরপরাহত।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন