এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পরিচ্ছন্নতায় দ্বিতীয় দফা চিরুনি অভিযানে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। দ্বিতীয় দফার অভিযানকে ফাইনাল অভিযান হিসেবে উল্লেখ করে উত্তরের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ অভিযানে কোনো বাড়ি, স্থাপনায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহক এডিস মশার লার্ভা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া গেলেই জরিমানা করা হবে।
গতকাল রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেইট থেকে মশা নিধনে দ্বিতীয় দফার অভিযান উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে এডিসের লার্ভা পাওয়ার পরও অনেককে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার আর কোনো ছাড় নয়।
এবার এডিসের লার্ভা বা এই মশা জন্মের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে। প্রথমবার ছিল সেমিফাইনাল, এবার হবে ফাইনাল অভিযান। এ বছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে গত ২০ অগাস্ট চিরুনি অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা ১ লাখ ২৩ হাজার বাড়িতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করি। তার মধ্যে দুই হাজার ৫৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি এবং ৬২ হাজার বাড়ি শনাক্ত করতে পেরেছি। যেখানে এডিস মশার লার্ভা প্রজননস্থল। এখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে। আমি নির্দেশ দিয়েছি যে ৬২ হাজার বাসাবাড়িতে চিরুনি অভিযান হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো উপায় নাই বাসা-বাড়ি অফিস-আদালত যেখানে আমরা লার্ভা পাবো সেখানেই জরিমানা করবো কারণ এই মাসটা খুব ক্রুশিয়াল মাস। এই মাসে যদি এই লার্ভা জমে থাকে তাহলে পরে বৃষ্টি হলে আবারও এডিস মশার জন্মাবে। শুধু সিটি কর্পোরেশন ও সরকার নয়, এটি ধ্বংসে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা একটি সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারবো।
মেয়র বলেন, আপনারা যেভাবে আমাকে প্রথম স্তরে সহযোগিতা করেছেন দ্বিতীয় স্তরে আরো বেশি সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি। মশা নিধনে আমাদেরকে ৩৬৫ দিনই কাজ করতে হবে। শুধু সিজেনের আগে কাজ করলে হবেনা।
মেয়র বলেন, সবাই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন তাহলে ডঙ্গুকে আমরা অনেক বেশি কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পারবো। তাই আমি অনুরোধ করছি বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখুন, বাসার আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, খেলার মাঠ-ময়দান-রাস্তা পরিষ্কার রাখুন। যাতে করে আমরা একটা নিরাপদ ঢাকা শহরে বাস করতে পারি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়–য়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, মোবাশ্বর হোসেন, রজব উদ্দিন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন