নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে তিন বছরের শিশু সন্তানসহ পান্না বেগম (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর আইয়ুব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার কাজীরচর গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পান্না বেগম ওই গ্রামের সুমনের স্ত্রী ও তার মেয়ে লামিয়া। নিহতের পিতা আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে আইয়ুব আলীর ছেলে সুমনের সাথে পান্নার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পান্নাকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারীরিক নির্যাতন করতো শ্বশুর-ননদ ও দেবর। গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে মারধর এবং গলাটিপে হত্যা করে। পরে শিশু সন্তানটি কান্না করলে তাকেও হত্যা করে তারা। হত্যার পর মা ও মেয়ের গলায় রশি বেঁধে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে প্রচারণা চালায় তারা।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শ্বশুর আইয়ুব আলীকে আটক করা হয়। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন