পতল হলে স্ত্রী ছাড়া কেউ পাশে থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, জমিনে উত্থান দেখেছি পতনও দেখেছি। পতন হলে কেউ নেই, বউ ছাড়া কেউ নেই।
গত রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের চারটি ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর গ্রিনরোড স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যানের বক্তৃতাকালে যুবলীগের একটি মিছিল আসে। এসময় তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, ওই দেখেন তালি পার্টি। এই তালি পার্টিটা কি? আমি একটা কিছু। হনু আসছে; মনে হয় রাজা বাদশা আসছে। যুবলীগে হনুরে দরকার নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, রাজনীতিকে কঠিন বানাবেন না। যুবলীগে হোন্ডালীগ সেলফি লীগের দরকার নেই। শ্রেষ্ঠত্বের বড়াই করবেন না। তবে আয়োজনের স্থান নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আর কোনো জায়গা পেলাম না; এটা কমনসেন্সের ব্যাপার। তবে আমার কাছে খুব অপমান মনে হচ্ছে আপনাদের সাইট সিলেকশন। একটা স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে কেউ সম্মেলন করে? মাঠ আর নেই? মেইন রোডটা বøক হয়ে গেছে। হোন্ডায় ভরে গেছে। এই মোড় থেকে ঘুরে আমার আসতে একঘণ্টা লাগছে। এই যে যানজটটি তৈরি করলাম, আমার কাছে এটা খারাপ লাগল।
ছাত্রলীগের ইস্যুতে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম ছাত্রলীগের দুই নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে অব্যাহতি দিয়েছে যা ছাত্রলীগের ইতিহাসেও প্রথম। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সমালোচনা করে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বিএনপির কাজ কি খালি আন্দোলন? তীব্র আন্দোলন? রিজভী না কি নাম আছে না? এটা নাকি আবাসিক নেতা। ইতিহাসে আছে কোনো পার্টির নেতা অফিসে থাকে? হেতের বউ পোলা নেই, হেতের সংসার নেই, হেতেরে কখনো আপনে দেখছেন হাসতে? শীত মানে না, বর্ষা মানে না রোজা মানে না, ইফতার মানে না। রোজার মাসে সেহেরির সময় টেলিভিশনে আন্দোলন, তীব্র আন্দোলন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন