নবাব শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি, কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্য মসজিদ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামে এ প্রাচীন স্থাপত্যটি আজও বিদ্যমান।
এলাকাবাসীর মুখে জানা যায়, নবাব শায়েস্তা খানের নামানুসারে গ্রামটির নাম ছিল শায়েস্তাপুর। কালক্রমে মানুষের মুখে মুখে শায়েস্তাপুর উচ্চারিত হয়ে আসতে আসতে অপভ্রংশে এসে শায়েস্তাপুর থেকে স্বস্তিপুর নামকরণ হয়। এরপর থেকেই স্বস্তিপুর হিসাবে গ্রামটি পরিচিত।
শায়েস্তা খানের আমলে এই স্বস্তিপুর গ্রামের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থেকে একটি শাহী রাস্তা চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানা হয়ে এসে কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে ফরিদপুর জেলার মাঝখান দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলে গেছে।এখন একটি মরা নদীর স্মৃতি চিহৃ থেকে অনুমান হয় যে এক সময় এই নদীটি তরতর বেগে ছুটে চলত স্বস্তিপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে।
অভিজ্ঞ মহলের ধারণা শাহী ফৌজদের বিশ্রামকালে পথিমধ্যে নামায আদায়ের জন্য এই মসজিদটি তারা তৈরি করেছিল। স্বস্তিপুর মসজিদটির ৪ কোনে চারচি থামের উপর ৪টি ছোট গম্বুজ শোভা পেত। আর মাঝের গম্বুজটি ছিল অন্যগুলোর চাইতে অনেকটা বড়। এ মসজিদটি সংস্কারে পর সংস্কার হতে হতে এর প্রাচীনতত্তে¡র স্মৃতি চিহৃ বিলুপ্তির পথে। এ মসজিদটির খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা সিরাজুল ইসলাম নিজামী।
মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত দর্শকরা এখনও ভীড় করে। প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শকদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। অনেকেই পিকনিক বা শিন্নি করে এখানে। মানত, শিন্নির জন্য আলাদা জায়গাও রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন