শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্নীতির ঘটনায় তোলপাড় রেইট কোড বাণিজ্যে ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা

ময়মনসিংহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


 ময়মনসিংহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভেতরে-বাইরে লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষুব্ধ ঠিকাদারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, চলতি বছরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় পানি সরবরাহ স্যানেটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ হয়। এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিডি ছিলেন খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামিউল হক। এই টেন্ডারে নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে মের্সাস স্বর্না ট্রেডার্স এবং মের্সাস ¯েœহা এন্টারপ্রাইজ কাজ পায়। তবে দুই প্রতিষ্ঠানের রেইড কোড সমান হলেও র্টানওভার বেশি থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মের্সাস র্স্বণা ট্রের্ডাসকে অফিসে ডেকে নিয়ে ওয়ার্ক র্অডার পাশ করিয়ে দেবার কথা বলে ৩ পার্সেন্ট টাকা দাবি করা হয়। শেষতক ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে সমাঝোতার আলাপে নগদ ৫ লাখ টাকা নেন নির্বাহী প্রকৌশলী শামিউল হক। অডিও রের্কডে এ সংক্রান্ত কথোপকথনের এর প্রমাণ রয়েছে।
তবে নির্ধারিত কার্যাদেশ প্রদানের দিন স্বর্ণা ট্রের্ডাসকে কাজ না দিয়ে মের্সাস ¯েœহা এন্টারপ্রাইজের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন শামিউল হক। এ প্রস্তাবে স্বর্ণা ট্রেডার্স রাজি না হওয়ায় নিয়মের বেড়াজাল সৃষ্টি করে সুকৌশলে কাজটি রি-টেন্ডার করে মের্সাস তানভীর এন্টারপ্রাইজকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামিউল হকের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কাজে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কালকাঠি নাড়েন সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সদ্য বদলি হওয়া প্রক্কলনিক কর্মকর্তা আ. মান্নান। সংশ্লিষ্ট মের্সাস তানভীর এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধীকারী তানভীর জানান, রিটেন্ডারের মাধ্যমে আমি কাজ পেয়ে নিয়ম মেনেই কাজ করছি। এর আগে লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

¯েœহা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ইমন জানান, স্বর্ণা ট্রেড্রাসের র্টানওভার বেশি থাকায় আমি কাজ পাইনি। কিন্তু কি কারনে ওই কাজের রিটেন্ডার হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে মের্সাস স্বর্না ট্রেডার্সের ঠিকাদার রাশেদুল হক রনির অভিযোগ, রিটেন্ডারে ৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেছিল। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী রেইড কোড বাণিজ্য করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এর আগেও তার লেনদেনের অডিও প্রমাণ রয়েছে।
অপর ভুক্তভোগী মের্সাস আর.এস এন্টাইপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী সুমন জানান, নিয়ম অনুযায়ী এপিপির (বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা) কাজে টেন পার্সেন্টে লেসের কাজের ক্ষেত্রে রেইট কোড নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী তা না করে রেইট কোড গোপন রেখে পছন্দের ঠিকাদারদের কাছে কেনাবেচা করে কাজ পাইয়ে দেন। ফলে নির্দ্দিষ্ট ঠিকাদারদের বাইরে অন্য ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বেগম ট্রের্ডাসের স্বত্ত¡াধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম আমীনের।

তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের প্রক্কলনিক কর্মকর্তা আ. বাসেত সিকদার বলেন, ঢাকা থেকে রেইট কোড ফাঁস হবার কোন সুযোগ নেই। তবে সুনির্দ্দিষ্ট ভাবে রেইড কোড মিলিয়ে ফেলার মত প্রমাণ থাকলে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রধান কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করতে পারেন। এসব বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামিউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন তথ্য। এবিষয়ে পরে কথা বলব।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন