ফরিদপুরে ডা. জাহেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে সিজারের পর প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তিনজন গাইনোকোলজি ও অবস বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট এম. কে. রহমান ও ব্যারিস্টার এম. মইনুল ইসলাম। আদালত থেকে বেরিয়ে মইনুল ইসলাম বলেন, আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার কারণে কেন বিবাদীদের দায়ী করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিবাদীরা হলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের অতিথি চিকিৎসক ডা. দিলরুবা জেবা এবং ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক আহমেদ এ রিট দায়ের করেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, ফরিদপুরে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ৩০ আগস্ট সকালে প্রসূতি ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক খায়রুন্নাহার তানি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাশিশুর জন্ম দেন। পরে ৩১ আগস্ট সকাল ৭টায় হাসপাতালে তিনি মারা যান। তানির স্বামী অ্যাডভোকেট সফওয়ান করিম অভিযোগ করেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার দিলরুবা জেবা নির্ধারিত সময়ের আগেই রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশন করায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থ হওয়ার পর শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন