আইনি সেবা পাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আদালতের নানা অনিয়মকে দূর করে আদালতকে মানুষের ভরসা ও হয়রানিমুক্ত আইনি সেবা পাওয়ার আশ্রয়স্থলে পরিনত করতে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার । আদালত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এবং সাধারন জনগনকে হয়রানিমুক্ত বিচারিক সেবা দিতে যোগদানের পর থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠিকে আইনগত সহায়তা প্রদান করতে সরকারের ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ কে যথাযথভাবে বাস্তবায়নেও তিনি বদ্ধপরিকরর। পাশাপাশি আদালতে জামিননামা প্রদান, রিকল গ্রহন, নকল কপি সংগ্রহসহ বিভিন্ন রুটিন কাজগুলোতে বিভিন্ন আদালতের কিছু অসাধু কর্মচারি সাধারন বিচারপ্রার্থী জনগনকে জিম্মি করে টাকা পয়সা আদায় করাটা অনেকটা রীতিতে পরিনত করে ফেলেছে। কিন্তু তিনি এসব দূর্নীতি ও অনিয়মরোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করে তা প্রতিরোধে প্রকাশ্যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এজন্য তিনি রাজশাহী চীফ জুডিশিয়াল আদালতের চারপাশে ফেস্টুনের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী প্রচারনা চালাচ্ছেন।
ফেস্টুনগুলোতে উল্লেখ আছে মামলায় যে কোন আদেশ, তারিখ, জামিননামা প্রদান, রিকলসহ প্রয়োজনীয় বিষয় আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারির নিকট থেকে জেনে নিবেন বিনা খরচে। অযথা বিলম্ব, বিড়ম্বনা, হয়রানি বা অবৈধ অর্থ দাবি কাম্য নয়। এক্ষেত্র দালাল, মহুরী, কর্মচারি বা অন্য কারো দ্বারা দূর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে সরাসরি তাকে জানানোর জন্য যোগাযোগ নাম্বার উল্লেখ করে দিয়েছেন। তার এমন উদ্যোগে সব ধরনের বিচারপ্রার্থী সাধারন জনগন হয়রানিমুক্ত বিচারিক সেবা পাবেন, তার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় বটে। এছাড়াও তিনি নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দূর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত বিচারিক সেবা নিশ্চিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন