শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

কর দিবসের পক্ষে নন আইনজীবীরা

প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থবিলের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা সংযোজন করে ৩০ অক্টোবরকে ‘কর দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ধারাটিসহ বেশ কয়েকটি নতুন ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরদার আকিল আহমেদ ফারুকী প্রমুখ।
আয়কর আইনজীবীদের সংগঠনটি মনে করে, এই পদ্ধতি চালু হলে একজন সাধারণ করদাতার পক্ষে রিটার্ন দাখিল জটিল হবে। রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে বর্ধিত সময়ের জন্য সুদ দেয়া কষ্টকর এবং তা নির্ণয় করা আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী এবার বাজেটে ৩০ অক্টোবরকে কর দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর আর করদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না। রিটার্ন জমা দিতে হলে আবেদনের সঙ্গে জরিমানা গুনতে হবে। বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের সময় শেষ হলেও আবেদন করে বিনামূল্যে আরো ৪ মাস সময় নিতে পারেন করদাতারা।
এছাড়া আয়কর অধ্যাদেশে সংযোজিত ৩০(এএএ) ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে আইনজীবীরা। এ ধারায় বলা হয়েছে, যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক টিআইএন ব্যতীত কোনো কর্মচারীকে বেতন দেন তাহলে সেই বেতনের অর্থ প্রতিষ্ঠানের আয় হিসেবে গণ্য করে কর ধার্য করা হবে। কর রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের সীমা কমিয়ে আনা এবং রেয়াতের নতুন স্তর সৃষ্টি করায় নি¤œ আয়ের করদাতাদের বেশি কর দিতে হবে। ন্যূনতম কর বাতিল করে ৮২সি ধারায় কোম্পানি লাভ-লস নির্বিশেষে নিট প্রাপ্তির ওপর করারোপ বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এ ধারায় বলা হয়েছে, লাভ-লস নির্বিশেষে সিগারেট কোম্পানিকে ১ শতাংশ, মোবাইল কোম্পানিকে দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সব ধরনের ফার্ম ও কোম্পানিকে দশমিক ৬০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরদার আকিল আহমেদ ফারুকী বলেন, বাজেট উচ্চাভিলাসী হলেও সরকার করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও গত অর্থবছরে বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। বাজেটে বেশকিছু আইনের পরিবর্তন অথবা প্রতিস্থাপন অথবা সন্নিবেশের ফলে করদাতারা হয়রানির শিকার হবে। এর ফলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেলেও সরকার করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির যে অঙ্গীকার করেছে তা বাধাগ্রস্ত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন