কওমি মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আজ বুধবার বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’-এর মজলিসে আমেলা ও খাস কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর কাজলার বেফাক অফিসে বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে সকাল ৯ টা থেকে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠিত বৈঠকে কাউন্সিলের রিপোর্ট পেশ ও পর্যালোচনা, চলতি শিক্ষাবর্ষের বেফাক পরীক্ষা ও তার পদ্ধতি, চামড়া কালেকশন, প্রশ্নফাঁস রোধ, নেসাবে তালিমের মানোন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে কয়েকটি নতুন প্রস্তাবনা পেশ ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়-
>> প্রশ্নফাঁস রোধে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে মেশকাত জামাতের পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল পদ্ধতি’র অনুসরণ করা হবে।
>> এখন থেকে প্রাইভেট বা অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ থাকবে কিনা এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
>> কোনো শিক্ষার্থী শরহে বেকায়া জামাতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে মেশকাত জামাতের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
>> চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে খাতা দেখার ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ, চারটি স্থানে পরীক্ষার খাতা একত্র করা হবে এবং সকল মুমতাহিনরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষার খাতা দেখবেন।
>> কওমি মাদরাসায় চামড়া কালেকশনের পদ্ধতি ও চামড়ার দরপতন রোধে বেফাক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও পরীক্ষার বিভাগের কতিপয় নতুন নীতিমালা প্রনয়ণসহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিযা, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা নূরুল আমীনসহ কেন্দ্রীয় আমেলা ও খাস কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন