শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই- ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:১৪ পিএম

সরকারের কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের কী অবস্থা? আজকে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন, লাগামহীন। গণতন্ত্রহীনতার কারনে সর্বত্র নৈরাজ্য বিরাজ করছে। এই অবস্থায় দেশ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী অবক্ষয় ঘটেছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই ভোট ডাকাতি করেছে আজকে তারাও আজকে বুঝতে পারছে কী পরিমাণ পরাজয় আওয়ামী লীগ ও সরকারের হয়েছে। তাদের এই পরাজয় শুরু হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে।

সরকার দেশ পরিচালনা করতে পারছে না, তারা সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ অভিযোগ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেন উচ্চ আদালত মানুষের সর্বশেষ যে জায়গা হাইকোর্ট সেখানে তিনজন বিচারপতিকে এই সরকারের সময়ে চিহ্নিত করা হয়েছে তারা দুর্নীতিবাজ। আজকে আপনি তাঁকান পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দিকে- ডিআইজি, এসপি, পুলিশের ডিসি- আজকে দুর্নীতির দায়ে এই সরকারের হাতেই ধরা খেয়েছে। আপনি তাঁকান সরকারি সিভিল সার্ভিসের দিকে। আপনারা দেখেছেন, একজন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অপকর্মের কারণে প্রত্যাহার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিচার চলছে। দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) দিকে তাঁকান সেখানে একজন পরিচালক দুর্নীতির দায়ে কারাগারে। কারাগারের ডিআইজি আজকে কারাগারে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে দেখেন- এতো করছে তারা, কেউ কেউ না কেউ ধরা পড়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এদেশের শিক্ষিত দেশপ্রেমিক জনশক্তি তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এই বিদ্যাপীঠে কী পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে, সরকারের কর্তৃত্বে এবং তাদের দলের নেতাকর্মীরা দ্বারা কী পরিমান যে লুটপাট-অনিয়ম হচ্ছে- আপনারা ইদানিংকালের পত্রপত্রিকায় তা দেখতে পারছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি হতে পারে -এটা কোনোদিন কেউ কল্পনা করতে পারেনি। কত বড় অন্যায়, কত বড় দুর্নীতি। আপনারা দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজী করার দায়ে আজকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বহিস্কৃত। এটাও বাংলাদেশের ইতিহাসে অস্বাভাবিক বিষয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ বাংলাদেশে সবচাইতে বড় সংকট গণতন্ত্রহীনতা। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকার কারনে আজকে বাংলাদেশকে আজকে গণতন্ত্রহীন করে রাখা সম্ভব হয়েছে, বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিংসার চরিতার্থ করার জন্য দেশনেত্রীকে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমরা চাই অবিলম্বে তার মুক্তি দেয়া হোক। তিনি মুক্তি না পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। আমরা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে মাধ্যমে তার মুক্তি জন্য কাজ করছি। একই সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে জামিনের চেষ্টা করছি। যদিও আমরা জানি, এই আদালত সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে দেশনেত্রীকে মুক্তি দেবে না।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন