বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তিনজনের ফাঁসি চার আসামির যাবজ্জীবন

রাজশাহীতে মা-ছেলে হত্যা

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 বাগমারার আলোচিত মা-ছেলেকে হত্যা মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী দেবরসহ তিন জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আরো চারজনের আজীবন কারাদÐ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐ। গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেউলা রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মাস্টার (৫২), রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০) এবং দেবীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাক (৩৫)।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি (২২), একই গ্রামের লবির উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (৩০), দুর্গাপুরের খিদ্রকাশিপুর গ্রামের ছাবের আলীর ছেলে রুস্তম আলী (২৬) এবং খিদ্রল²ীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির (২৩)। রায় ঘোষণাকালে মামলার সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আদালতের নির্দেশে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ের পর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, দ্রæত নিষ্পত্তির জন্য এ বছরের এপ্রিলেই মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটিতে মোট ৫১ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর গত বুধবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গতকাল এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারার দেউলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আকলিমা বেগমের বড় ছেলে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় নাটকীয় মোড় নেয় এই জোড়া খুনের তদন্ত। তিন দফা বদল করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা।
সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। এরপর এই হত্যাকাÐের রহস্য বেরিয়ে আসে। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে আদালতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন