ফরিদপুরে দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলছে বিএনপির অন্তর্দ্ব›দ্ব। ৪/৫টি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে যার যার মত রাজনীতি করে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
অন্তর্দ্ব›দ্ব গ্রæপের মধ্যে রয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ গ্রæপ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া গ্রæপ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নেত্রী শামা ওবায়েদ রিংকু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার আলী জুয়েল। এই গ্রæপিংয়ের কারণে হাবুডুবু খাচ্ছে ফরিদপুরের বিএনপি। ফলে কোনো জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা। ৫টি গ্রæপের অন্তর্দ্ব›দ্ব থেকে শাখা প্রশাখা হয়েছে প্রায় ২০টি গ্রæপ।
চলতি মাসের ৪ তারিখে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ফরিদপুর জেলা কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয়েছে ফরিদপুরের জেলা কমিটি নিয়ে গ্রæপিং এবং দৌড়ঝাপ। কেউ জানে না কোন গ্রæপের কারা এই জেলা কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত হবে। তবে ফরিদপুরের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী যে সকল নেতাকর্মীরা এই ১২ বছরে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে একটি শক্তিশালী ফরিদপুর জেলা কমিটি গঠন করা হোক। তৃণমূল নেতাকর্মীরা চায় ফরিদপুরে বিএনপির অন্তর্দ্ব›দ্ব মিটিয়ে দিয়ে সকল নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে একটি আস্থাভাজন কমিটি করা হোক।
জেলা কমিটির আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সাবেক ছাত্রনেতা আফজাল হোসেন খান পলাশ, রাশিদুল ইসলাম লিটন, সৈয়দ জুলফিকার আলী জুয়েলসহ প্রায় ২৫/৩০ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন