মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে -রিজভী আহমেদ

প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকার সমাজ ও রাষ্ট্রের মানবিক চেহারা হরণ করে নিয়ে এখন মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বিএনপির ২১শ’ নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ আড়াল করতে চলমান পুলিশি অভিযানের স্টিম রোলার দেশবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রকে উৎখাত করে গোটা সমাজকেই অধঃপতনের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে এই সরকার। অনাচার, পাপ আর অধিকার হরণের বিভৎসতায় সরকার এখন মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছে।
জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে খুব শিগ্গিরই অপরাজয়ের মনোবল নিয়ে দেশের মানুষ এক তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের বিদায়ের থার্ড বেল অর্থাৎ তৃতীয় ঘণ্টা বেজে গেছে বলেও জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আসলে ধারাবাহিক হত্যাকা- বন্ধ করা নয়, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম করার জন্য গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের হত্যাকা- নিয়ে প্রায় সাত হাজারের অধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১শ’র অধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে অসংখ্য নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে। অথচ মূল জঙ্গিদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি, মাত্র ৮৫ জন সন্দেহভাজনকে জঙ্গি হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রেরিত বার্তায় বলা হয়েছে।
গ্রেফতারের মধ্যে বিএনপির শীর্ষ কোনো নেতা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আপনাদের অবহিত করেছি। চাপে রাখতে শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবদের বাড়ির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গণ-গ্রেফতারের এবং বন্দুক যুদ্ধের নামে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঈদের আগে দেশের মানুষকে ঠেলে দেয়া হয়েছে ভীতি আর আতঙ্কের রাজ্যে। বিগত আন্দোলনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে রিজভী বলেন, যেখানেই পেট্রোল বোমা ও আগুন সেখানেই আওয়ামীরা। তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই হচ্ছে সন্ত্রাস ও শক্তি প্রয়োগ করা। পাশাপাশি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটতে আওয়ামী লীগের জুড়ি মেলা ভার।
তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় থানা পুলিশকে কব্জায় নিয়ে গায়ের জোরে যে কারও বিরুদ্ধে যেকোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা যায়। তবে তাতে সত্যকে ঢাকা দেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এই অনাচারকারী ভোটারবিহীন সরকার সমাজ ও রাষ্ট্রের মানবিক চেহারা হরণ করে নিয়েছে। গণতন্ত্রকে উৎখাত করে গোটা সমাজকেই অধঃপতনের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে তারা। এদের অনাচার, পাপ আর অধিকার হরণের বিভৎসতায় সরকার এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তাই এদের বিরুদ্ধে খুব শিগ্গিরই অপরাজেয় মনোবল নিয়ে দেশের মানুষ এক তীব্র প্রতিরোধ গড়া তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এদের বিদায়ের তৃতীয় ঘণ্টা বেজে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন