ধা রা বা হি ক
মসনবী শরীফ
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
১৮৭৪. তোমায় দেখার কাঙ্খাতে মোর হৃদয় বেকারার
মুক্তি প্রাব, ছাড়ব কবে এই কারাÑ সংসার।
১৮৭৫. তোতার মরণ-কারণ দারুন মর্যাদাবোধ তার
কোথায় সে দিল্্ দীর্ণ যা হয় বিচ্ছেদে মাওলার।
১৮৭৬. মর্যাদাবোধ ঊর্ধ্বে কত, কতই যে তার শান
যায় না তাহা বয়ান করা, কিংবা অনুমান।
১৮৭৭. চোখের পানি যদি আমার সাগর হতো, হায় !
সবটুকুই তা ঢেলে দিতাম প্র্রেমাস্পদের পায়।
১৮৭৮. বিজ্ঞ ধিমান ছিলে তুমি হায় তোতা আমার
তুমি আমার ভেদ-ভাবনার ছিলে ভাষ্যকার।
১৮৭৯. স্বচ্ছলতা কিংবা অভাব, মিঠে এবং তিতে
ভুলে না যাই যেন কিছু, সব স্মরিয়ে দিতে।
১৮৮০. প্র্রাণ-তোতা প্রায় খোদার অহীÑগায়বী সমাচার
সূচনা যার বহু আগে সকল সূচনার।
১৮৮১. তোমার মাঝে বাস সে তোতার, দেখনা তার কায়া
দেখ কেবল বি’ছুরিত রস্মি ও তার ছায়া।
১৮৮২. সে রস্মিকে নাশ করিলে বিলাস-মগন থেকে
চির সুখের নিবাস ভুলে আনলে বিনাশ ডেকে।
১৮৮৩. প্র্রাণ কে তুমি মারলে প্রুড়ে দেহের সুখে হায়!
প্র্রাণকে পুড়ে দেহটাকে সাজালে সজ্জায়।
১৮৮৪. দেহ আমার ছাই হলো তাঁর প্র্রেম আগুনে জ্বলে
নিতে পার আগুন কারো খড় পোড়াতে হলে।
১৮৮৫. সলতেÑ দীপের অগ্নিশিখা নিজের দিকে টানে
সলতে এ্যামন লও খুঁজে যা অগ্নি টেনে আনে।
১৮৮৬. হায়রে কপাল দারুন ব্যথায় মরছি আমি জ্বলে
এ্যামন উজাল চাঁদ লুকাল ঘন মেঘের তলে।
১৮৮৭. কেমনে বলি! হৃদয় যে মোর জ্বলছে ভীষণ আগ্্
হিংগ্র ভয়াল হল আরও, এই বিরহ-বাঘ।
১৮৮৮. হুশ ও জ্ঞান বহাল কালেও উগ্র মাতাল যেই
থাকলে হাতে প্রান-প্রিয়ালা কেমন হবে সেই ?
১৮৮৯. এমনিতেই হিংগ্র মাতাল ব্যাঘ্র সে আবার
বিশাল সবুজ মাঠ প্রেলে কী রূপ্র না হবে তার!
১৮৯০. ছ’দ মাঝে মগ্ন থাকি, বন্ধু বলে রাখো
ওসব ছেড়ে আমার মিলন-আশায় মগন থাকো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন