শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পানি সমস্যা মোকাবেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ

গৃহস্থালী কাজে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণই যথেষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৪ পিএম

বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় যা সঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করলে বসতবাড়ির জন্য পানির সবধরণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত চতুর্থ রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং কনভেনশনে এ কথা বলেন বক্তারা।

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে দৈনন্দিন ব্যবহার এবং ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলোতে পুনরায় পানি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পানি সংকট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এতে জলাবদ্ধতা কমানোর পাশাপাশি সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করাও সম্ভব বলে মনে করেন বক্তারা।

বুয়েট’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ বলেন, যথাযথ নকশা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পদ্ধতি গ্রাম ও শহর উভয় এলাকার বসতবাড়ি ও কলকারখানার পানির চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। এইচএসবিসি, রেইন ফোরাম, ইএসটিএক্স, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ ও আইটিএন-বুয়েট সহযোগীতায় সম্মেলনটির আয়োজন করে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। সম্মেলনে মূলত বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের নীতিমালা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

দেশে বর্তমানে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তার একটি বাস্তবসম্মত, সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধান হল রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলোতে পুনরায় পানি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পানি সংকট অনেকটাই কমিয়ে আনা করা সম্ভব। জলাবদ্ধতা কমানো এবং সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং সংস্কার উপদেষ্টা শীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান ডা. সুলতান আহমেদ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার লঙ্কা রেইনওয়াটার হারভেস্টিং ফোরামের চেয়ারম্যান রাজীন্দ্রী দে সিলভা আরিয়বান্দু।

গ্রাম ও শহরেরে বসতবাড়ি ও শিল্প করকারখানার পানি সংকট মোকাবেলায় সাশ্রয়ী ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া এবং অন্যান্য সহযোগী অংশীজনসহ ১শ’ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী এ সম্মেলনে অংশ নেন। গ্রাম ও শহর উভয় অঞ্চলের বসতবাড়ি এবং শিল্প করকারখানায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহের কৌশল এবং এ বিষয়ে কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আহবান জানান তারা।

আগামী দিনের পানি সংকট মোকাবেলায় ভূগর্ভস্থ পানির বিকল্প হিসেবে কেবল বৃষ্টির পানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বর্তমানের পানি সংকটকে কমিয়ে আনার জন্য অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন বক্তরা।

সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়াটারএইড’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আনোয়ার হোসেন শিকদার।

দিনব্যাপী এই সম্মেলনকে দুটি টেকনিক্যাল সেশনে ভাগ করা হয়। আইটিএন, বুয়েট-এর পরিচালক প্রফেসর ড. এম আশরাফ আলীর পরিচালনায় প্রথম সেশনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সম্ভাবনা ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। দ্বিতীয় সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ডা. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের নীতিমালা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। উভয় সেশনে আলোচনাকারীরা বৃষ্টির পানি সংগ্রহের পদ্ধতি ও কার্যকারিতার ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচারাভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনায় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ (এসডিজি-৬) অর্জনের লক্ষ্যে দেশের ক্রমবর্ধমান পানি সঙ্কট মোকাবেলা এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

প্যানেল আলোচনাটি পরিচালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। প্যানেলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডব্লিউডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মোহি, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ.এস.এম. রায়হানুল ফেরদৌস, হাউস অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তার, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম আর কবির, এইচএসবিসি বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার গস্কা গ্রাবেক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স-এর সহ-সভাপতি ডা. মো. আক্তার মাহমুদ, স্থপতি ও বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. ইকবাল হাবিব এবং ফকির ফ্যাশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুল্লাহ আল মাহের।

বাংলাদেশ রেইন ফোরাম’র সভাপতি সৈয়দ আজিজুল হক সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ পিএম says : 0
OBOSHO EEEE ! AUSTRALIA R MOST POPULATION SYDNEY TE ! SYDNEYR WARRAGAMBA DEM (JETA BRISHTIR PANITE VORE ) SYDNEYR ALL POPULATION ER PRAY 100% CHAHIDA MITAY ! ORA PARLLE AMRA KENO PARBO NA ?? BANGLADESH E AUSTRALIAR CHEA ONEK BESHI BRISHTHI HOY
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন