গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপুর্ণ পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। দেখার যেন কেউ নেই, আশঙ্কা দুর্ঘটনার। জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাকোটি। প্রতিদিন এক/দেড় হাজার লোক পারাপার হয় এই সাঁকো দিয়ে। খোর্দ্দা গ্রামের ইমামগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশেই তাম্বুলপুর ছড়া নদীর উপর বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর সহযোগীতায় নির্মিত হলেও এখন তা দারুণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী। কারণ প্রতিদিন হাট-বাজার সহ স্কুল, কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা এ সাকো দিয়ে পারাপার হয়। ইতোপূর্বে ওই স্থানে নৌকায় চরে মানুষজন পারাপার হয়। তাই নিজেদের সুবিধার্থে দুই পারের জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাকোটি নির্মাণ করে। এ রাস্তা দিয়েই পাশর্^বর্তী কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোক গাইবান্ধাসহ রংপুর যাতায়াত করে। কোন সরকারী সহযোগীতা ছাড়াই সাকোটি নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে নড়বরে অবস্থা বিরাজ করছে। তাই শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ভোগেন উৎকন্ঠায়। অভিভাবকদের চিন্তা তাদের শিশুরা নিরাপদের পারাপার হতে পারবে তো? খোর্দ্দার চরের আঃ রশিদ বলেন, সাকোটি দিয়ে যখন শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার হয় তখন উৎকন্ঠায় চেয়ে দেখি। জ্যোৎনা বেগম নামে এক অভিভাবক জানান, তার স্বামী জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকেন। তাই তার দুই শিশুর স্কুল যাতায়াতের সময় সাকোটি পর্যন্ত যেতে হয়। বর্তমানে মেরামত করার অভাবে দিনদিন সাকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। লাটশালা গ্রামের কৃষক ফয়জার রহমান জানান, সাকোটি নির্মাণের প্রথম দুই বছর স্বানন্দে পারাপার হলেও এখন সাকোটি মরণফাদে পরিণত হয়েছে। তিনি দাবী করেন এ জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করা দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন