তীব্র গা-জ্বলা গরমে অতিষ্ঠ জীবনযাত্রা। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট আর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার বিভ্রাটে কষ্ট-দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। আশ্বিন মাস শুরু হলেও চৈত্রের খরতাপকে হার মানানো ভ্যাপসা গরম প্রায় সবখানে। কোথাও এক ফোঁটা বৃষ্টি নেই। নেই মেঘের ছায়া।

গত বুধবার আবহাওয়া বিভাগ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিলেও বাস্তবে তা এখনো হয়নি। বর্ষার মৌসুমী বায়ু বিদায় নেয়নি। তবুও আপাতত বৃষ্টির আশা নেই।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধুই রাঙ্গামাটিতে মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টির ফোঁটা ঝরে। সারাদেশে খটখটে আবহাওয়া বিরাজ করছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫.৬ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৭ ডিগ্রি সে.। দেশের অধিকাংশ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রিরও বেশি।

আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা যায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, এখন বাংলাদেশের ওপর বর্ষার মৌসুমী বায়ু কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুুর্বল অবস্থায় রয়েছে।