চেক ডিজঅনার মামলায় আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পরেও চাকুরীতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী। তবে আদালতের রায়কে ব্যক্তিগত মামলার কথা বলে বাদীর সাথে আপোষ করা হয়েছে এমনটাই জানালেন তিনি।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সদর উপজেলার চাদমুহা হরিপুর এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামে কাছে থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করেননি। তার বিপরিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের ১ তারিখে ব্যাংক এশিয়া বগুড়ার শাখার একটি চেক প্রদান করে মেহেদী হাসান। একি বছরের জুনের ১২ তারিখে পাওনাদার চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। পরবর্তীতে পাওনাদার রফিকুল ইসলাম লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে টাকা না পেয়ে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় শুনানী শেষে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২১ জুলাই আদালত ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। জেলা বগুড়ার যুগ্ম দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চলতি বছরের ২১ জুলাই এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান জুলাই মাসের ২৮ তারিখে চেকের দাবীকৃত টাকার অর্ধেক ব্যাংকে জমা দিয়ে ৬ আগষ্ট জামিন নিয়েছেন।
এদিকে দণ্ডিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। সদর উপজেলার চাদমুহা হরিপুর এলাকার মৃত মহিনী রঞ্জন সরকারের ছেলে পলাশ সরকার ৩ লাখ টাকার দাবীতে একই ধারাতে মামলা করেছেন। দণ্ডিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তার বিরুদ্ধে রায় ও মামলা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব মামলার বাদীর সাথে আপোষ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কারনে লেনদেন হয়েছে সে কারণে মামলা তার সাথে চাকুরীর কোন সম্পর্ক নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন