মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়মতো পাওয়া যায় না। এ কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শেষ করা যায় না।
অর্থ পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। পাচারকৃত অর্থ-সম্পদও ফিরিয়ে আনা যায় না। এ কথা জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’ (কোয়েকা)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হুন গিউয়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
দুদকের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতার চেয়ে তাত্তি¡ক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান সম্বলিত কর্মকৌশলের বেশি প্রয়োজন। কমিশনের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে নিজস্ব সক্ষমতার ঘাটতি, কাক্সিক্ষত মাত্রার জনআস্থার অভাব, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা, বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতা-অনীহা ইত্যাদি। কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতার সমৃদ্ধিতে কমিশন বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রমের ফলে কমিশনের সক্ষমতার কিছুটা হলেও উন্নত হবে।
ইকবাল মাহমুদ দুদকের অর্জন তুলে ধরে কোয়েকা প্রতিনিধিদলকে বলেন, কমিশনের মামলায় এক সময় সাজার হার মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ।
বিগত তিন বছর ধরে সাজার হারের একটি ইতিবাচক সামঞ্জস্যপূর্ণ ধারাবাহিকতা রয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত, থামিয়ে দেয়া, প্রতিরোধ এবং আইনের মুখোমুখি আনতে যে মানের প্রযুক্তি প্রয়োজন তা কমিশনের এখনও নেই। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, ঘুষ লেনদেন হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করার জন্য যে মানের প্রযুক্তির দরকার তাতে কমিশনের ঘাটতি রয়েছে।
কমিশনের নিজস্ব ফরেনসিক ল্যাব, মোবাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম না থাকায় মামলার তদন্ত এবং আসামি গ্রেফতারে যেসব সমস্যার উদ্ভব ঘটে সেটিও প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, সিস্টেম এনালিস্ট মো. রাজীব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন