বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় যা সঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করলে বসতবাড়ির জন্য পানির সবধরণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত চতুর্থ রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং কনভেনশনে এ কথা বলেন বক্তারা।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে দৈনন্দিন ব্যবহার এবং ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলোতে পুনরায় পানি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পানি সংকট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এতে জলাবদ্ধতা কমানোর পাশাপাশি সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করাও সম্ভব বলে মনে করেন বক্তারা।
বুয়েট’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ বলেন, যথাযথ নকশা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পদ্ধতি গ্রাম ও শহর উভয় এলাকার বসতবাড়ি ও কলকারখানার পানির চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। এইচএসবিসি, রেইন ফোরাম, ইএসটিএক্স, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ ও আইটিএন-বুয়েট সহযোগিতায় সম্মেলনটির আয়োজন করে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। সম্মেলনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের নীতিমালা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। দেশে বর্তমানে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তার একটি বাস্তবসম্মত, সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধান হল রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলোতে পুনরায় পানি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পানি সংকট অনেকটাই কমিয়ে আনা করা সম্ভব। জলাবদ্ধতা কমানো এবং সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং সংস্কার উপদেষ্টা শীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান ডা. সুলতান আহমেদ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার লঙ্কা রেইনওয়াটার হারভেস্টিং ফোরামের চেয়ারম্যান রাজীন্দ্রী দে সিলভা আরিয়বান্দু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন