শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমারে অস্ত্র রফতানিতে ইইউর নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারে অস্ত্র রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে বৃহস্পতিবার উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু। ‘মিয়ানমার, বিশেষভাবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনায় অন্তত ১২ জন পার্লামেন্ট সদস্য বক্তব্য দেন। রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা এবং ৬ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইনে গণহত্যার শঙ্কায় রয়েছেন- জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এমন প্রতিবেদনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেইপিদোর তীব্র নিন্দা জানান তারা। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিভিন্ন প্রস্তাব ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য উরমাস পায়েট বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব এবং নাগরিক অধিকারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্যই কাজ করে যাবে। রোহিঙ্গা বিরোধী নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মতো সবধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে ইইউ। পরে মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রির ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা, রোহিঙ্গা নৃশংসতায় অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ,ক্ষুদ্র জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ তাদের অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৫৪৬ জন। অনুপস্থিত ছিলন ৯৪ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ১২ জন। এরমধ্যেই মিয়ানমারের অব্যাহত যুদ্ধাপরাধ বন্ধে মানবাধিকার কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এশিয়ান হিউম্যান রাইট ফোরাম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য নিনা গিল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ একা নয়। তারা বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য ফিল ব্যানন বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের প‚র্ণ নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রত্যাবাসন বেগবান করতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, বাড়িঘর পুনর্র্নিমাণ, ভ‚মি অধিকার ফিরিয়ে দেয়া জরুরি। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজ দেশের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে মিয়ানমার। রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন