শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ালে সউদী আরব ও আরব আমিরাত ধ্বংস হয়ে যাবে : হিজবুল্লাহ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:২৭ পিএম

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, যারা ইয়েমেনের নিরপরাধ মানুষ হত্যার ব্যাপারে নীরব থাকে, তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তাদের সরব হয়ে ওঠার ঘটনায় বোঝা যায়, তাদের কাছে রক্তের চেয়ে তেলের মূল্য অনেক বেশি। দুই তেল স্থাপনায় ইয়েমেনি হামলার পর তার সমালোচনা করে পশ্চিমা দেশগুলো যেসব বক্তব্য দিয়েছে; তার সমালোচনা করে নাসরুল্লাহ এই মন্তব্য করেন। তিনি হুঁশিয়ার করেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ালে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সউদী আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। এই ঘটনার জেরে সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাসরুল্লাহ সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ইরানবিরোধী যুদ্ধের পাঁয়তারা করার অভিযোগ আনেন। রিয়াদ ও আবুধাবির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হুথিদের একটি হামলায় সউদী তেল স্থাপনার যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা থেকে একথা অনুমান করা যায় যে, ইরান হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি কতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।’

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে পালিয়ে যান হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সউদী আরব। সউদী জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে কোটি কোটি মানুষ।

শুক্রবার হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত ইয়েমেনের যেসব নারী ও শিশু সউদী আগ্রাসনে নিহত হয়েছে আমরা তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, যারা আজ সউদী তেল স্থাপনায় হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে, তারা ইয়েমেনের নারী ও শিশু হত্যার সময় কেন নীরব থাকে, তা বিশ্ববাসী জানতে চায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
alim ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৬ পিএম says : 0
বেটা তরা খালি সৌদি রে দোষ দেস কেন? তোদের হুতিরাও তো কত নিরীহ মানুষ মারতাসে।
Total Reply(0)
Shamim ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:২৭ পিএম says : 0
Joggo bole na, kore
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন