আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে সবাইকে (আওয়ামী লীগ নেতা) জানিয়ে আসছিলেন, দুর্নীতি ও অপকর্ম করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না; বরং তার উল্টোটাই হয়। সেই দুর্নীতি ও অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী সোচ্চার হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও নেতারা তা আঁচ করতে পারেননি। এরপরই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে বাদ এবং সাম্প্রতিক ক্যাসিনোতে অভিযান।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সেই পদক্ষেপের কথাই সাংবাদিকদের জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের কঠোরতা আমরা এতটা বুঝতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেছেন। ওই দিনের (৮ সেপ্টেম্বর) সভাতেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি, কিছু মানুষ আমার নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমি (প্রধানমন্ত্রী) কঠোর পরিশ্রম করি, মানুষের কল্যাণ-মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আমি আমার পরিবারের বাবা-মাসহ ভাইদের হারিয়েছি। এত কঠোর পরিশ্রম করি বাংলার ১৬ কোটি মানুষের কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য। সেগুলোকে যারা ম্লান করছে, তাদের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। যারা সীমা লঙ্ঘন করছে, অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে।
এর বেশ কয়েক দিন পর ছাত্রলীগের বিষয়টি এলো জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই মিটিংয়ে তিনি ইঙ্গিত দিলেও আমরা এতটা বুঝতে পারিনি। দু-একটা সংগঠনের নামও তিনি বলেছেন। ওখানে বলা হয়েছিল, একটি সংগঠন (যুবলীগ) আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করে ৩০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি শুনে আরো ক্ষিপ্ত হয়েছেন, বলেছেন চাঁদাবাজি করে আমার দীর্ঘায়ু কামনা করলে লাভ কী? মানুষ আমার জন্য বদ দোয়া করবে। আল্লাহও খুশি হবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন