উত্তর-প‚র্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে হিন্দুদের রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ঘাটতি নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে তার দলের সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবÍ অভয়বাণীতে কারও কার্পণ্য নেই। কিন্তু বাস্তবে চলছে ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর পুলিশি সন্ত্রাস। বাঙালি হলেই তার ওপর নেমে আসছে বর্ডার পুলিশের হাজারো হয়রানি। তালিকা প্রকাশ হলেও এখনও নাম বাদ পড়ার কারণ জানানো হয়নি এনআরসি- বহির্ভুতদের। নভেম্বরের আগে সেটা জানাও সম্ভব নয়। ফলে এখন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যাওয়া অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে বাঙালিদের ওপর পুলিশি জুলুম বাড়ছে। শুক্রবার আসামে শিলচরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এনআরসি নিয়ে অভয় দেন হিন্দুদের। শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জমিয়ত-উলেমা-হিন্দ নেতাদের প্রতিশ্রুতি দেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ভারতীয়কে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফল পাওয়া যাচ্ছে না। আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘আসামে বাঙালিদের ওপর হয়রানি দিন দিন বেড়েই চলেছে।’ এদিকে, রোবিবার ভারতীয় গোর্খা পরিসঙ্ঘের সর্বভারতীয় সভাপতি সুখমান মকটন মন্তব্য করেছেন, ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা গোর্খাদের পক্ষে অপমানজনক। আমরা যাব না। এনআরসি তালিকায় আমাদের বৈধ নাগরিকদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানহানির মামলা করার কথা বিবেচনা করছি।’ হিজড়া স¤প্রদায় থেকে নির্বাচিত প্রথম বিচারক স্বাতীবিধান বড়ুয়ার অভিযোগ, হিজড়ারাও এনআরসি তালিকায় বঞ্চিত। আসমে ২ হাজারেরও বেশি হিজড়া চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। আবার শিলচরের পতিতাপল্লীর যৌনকর্মীদেরও নাম নেই এনআরসিতে। বিভিন্ন পর্যায়ে এমন অভিযোগ বাড়ছে আসামে। ফলে সর্বস্তরেই এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন