মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বৃদ্ধি পাচ্ছে পেঁয়াজ আমদানি দ্রæত কমছে মূল্য

পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্যসচিবের বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম


 সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রæত করতে সরকার ইতোমধ্যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তদারকি জোরদার করেছে। প্রতিবেশি ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইজ(এমইপি) নির্ধারন করার কারণে বাংলাদেশ এখন মিয়ানমার, তুরষ্ক, মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীন বাজারগুলোতেও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরষ্ক থেকে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তাছাড়া ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ শিগগিরিই বাজারে আসছে। বিভিন্ন হাট-বাজারের পেঁয়াজ দ্রæত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সরধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে পেঁয়াজের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোন বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতংকিত হবার কোন কারণ নেই, মূল্য দ্রæত কমে আসছে।

বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও পাইকারি ও খুচড়া ব্যবসায়ীগনের সাথে বাজার দর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যসচিব উপস্থিত পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারি ও খুচড়া ব্যবসায়ীগনের কাছ থেকে আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের বর্তমার মূল্য খুবই সাময়িক। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বাজার দ্রæত স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. শাখাওয়াত হোসেন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইদ্রিস, ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মো. মিজানুর রহমান, শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজী মো. মাজেদ, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হাফিজুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র রায়, উত্তম কুমার সাহা, মো. আব্দুল মান্নান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন