শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দক্ষিণাঞ্চলে পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

দক্ষিণাঞ্চলে পেঁয়াজের কেজি এখন ৭০ টাকা ছুতে চলেছে। পাইকারি ৬০ টাকার ওপরে। রসুন আদার দামও সাধারণের নাগালের বাইরে। ভারতে রফতানি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে দক্ষিণাঞ্চলে পেঁয়াজের ঝাঁজ বৃদ্ধি পেয়ে প্রথম ধাপে কেজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়ে ৫৫ টাকায় উঠলেও পরে সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে পেঁয়াজের কেজি ক্রমে ৭০ টাকা ছুতে চলেছে। সাথে রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, চিনি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি নিয়েও দক্ষিণাঞ্চলবাসীর অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। ফলে সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ সংসার খরচ মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন। দুর্ভোগ ক্রমে বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
বিগত মাস তিনেক ধরে চালের বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও নতুন বাজেটের পরেই সয়াবিন তেল ও চিনির দর বৃদ্ধি পায় কেজিতে ৫ টাকারও বেশি। তখন পেঁয়াজের দর কিছুটা সহনীয় ২৫-৩৫ টাকার মধ্যে থাকলেও জুলাই মাসের মধ্যভাগ থেকেই পেঁয়াজের বাজার চড়া হতে থাকে। সর্বশেষ গত মাসের শেষভাগে পেঁয়াজের কেজি পাইকারি বাজারে ৩৫-৪০ টাকার মধ্য থাকলেও অতি সম্প্রতি ভারত সরকার রফতানি মূল্য একলাফে তিনগুন বৃদ্ধির ঘোষণায় সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ চট্টগ্রাম হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে আসে না। ফলে সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে। এ মাসের মধ্যভাগে একলাফে কেজি প্রতি ১৫ টাকা বেড়ে বরিশালের পাইকারি বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দর সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা উঠলেও সেখানে থেমে থাকেনি।
দেশি পেঁয়াজেরও খুব একটা সরবরাহ নেই বাজারে। সব সময়ই দেশীয় উৎপাদিত পণ্য কৃষকের হাত থেকে বেরিয়ে যাবার পরেই তার দাম বেড়ে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারো দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা না করলে আগামী কিছুদিনে দক্ষিণাঞ্চলে পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা ছুতে পারে বলেও শঙ্কিত পাইকাররা।

এদিকে পেয়াজের দর ৪০ টাকা কেজি থাকা অবস্থায়ই রসুনের দর ছিল ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আদার দরও ছিল দেড়শ’ টাকার ওপরে। অথচ গতবছর একই সময়ে এ দুটি পণ্যের দর ছিল যথাক্রমে ৬৫-৭০ টাকা ও ৯০-১শ’ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীদের মতে আগামী ডিসেম্বরের আগে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার সম্ভবনা নেই। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছেই। রসুন ও আদার ক্ষেত্রেও প্রায় একই কথা বলেছেন বরিশালের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাদেও বাজারে সয়াবিন তেল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাথে সবজির বাজারও যথেষ্ট অস্বস্তিতে রেখেছে ভোক্তাদের। ৪০ টাকার নিচে এখন আর কোন সবজি নেই বাজারে। ওপরে ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে কোন কোন সবজি। সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ বাজারে কিছু নতুন সবজি এলে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ডিমওয়ালা ইলিশ আগাম উঠে আসায় বাজারে মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও তা এখনো সহনীয় পর্যায়ে নয়। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন বন্ধের পরে মাছের দাম আবার বাড়বে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীসহ ভোক্তারা। ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা বেড়ে বরিশালের বাজারে এখন ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা কম থাকার পরেও গরুর গোশতের কেজি ৫শ’ টাকার ওপরে। খাশির গোশত প্রায় ৮শ’ টাকা কেজি।

তবে চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল গত দু’মাস। মোটা চালের কেজি ২৮-৩০ টাকা, মিনিকেট ৪৪-৪৬ টাকা কেজি। আর মধ্যম মানের ব্রি-২৮ বা আঠাশ বালাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা কেজি দরে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন