শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পার্লামেন্টের স্থগিতের সিদ্ধান্ত বেআইনী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:১৯ পিএম | আপডেট : ৬:৫৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংসদকে অবৈধভাবে স্থগিত করেছেন বলে রায় দিয়েছে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার মাত্র এক মাসের কম সময় বাকি থাকতে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিল।

পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বেআইনির রায় যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ১১ বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করেছেন৷ স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ দেওয়ানী আদালতের রায় বহাল রেখে সুপ্রীম কোর্ট ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংসদ স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত অকার্যকর ঘোষণা করেছে। যার সংসদ অধিবেশনে এখনো বহাল রয়েছে। ফলে এখন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারবেন বিরোধী এমপিরা।

গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়৷ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছিলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন সরকারের কার্মপরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন৷ সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করতেই পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে৷ তবে ওই দিনই প্রতিনিধি পরিষদে জনসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা৷

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা সামনে রেখে পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন বন্ধ করাটা ভুল ছিল৷ দেশের গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর এর প্রভাব ভয়াবহ বলেও রায়ে অভিমত দেয়া হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ব্রেন্ডা হেল বলেন, রানিকে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুরোধের সিদ্ধান্ত আইনসম্মত ছিল না৷ কারণ এর প্রভাব ছিল হতাশাজনক৷ এর মধ্য দিয়ে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পার্লামেন্টের সাংবিধানিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রদ করা হয়েছে৷

এখন কি হবে সে সিদ্ধান্তের ভার হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসের স্পিকারদের উপর ছেড়ে দিয়েছে আদালত৷ আর আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ বলেছেন, আর দেরি না করে পার্লামেন্ট বসবে, জরুরি ভিত্তিতে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন৷

এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, তারা আদালতের রায় বোঝার চেষ্টা করছেন। রায়ের পর বরিস জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই৷ লেবার পার্টির নেতা এবং বিরোধী দলের প্রধান জেরেমি করবিন জনসনকে এখনই তার পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ব্রাইটনে লেবার পার্টির সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি বরিস জনসনকে ঐতিহাসিক ভাষায় তার অবস্থান বিবেচনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷’ অবৈধভাবে সংসদ স্থগিত করে জনসন গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন করবিন৷

লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নেতা জো সোয়েনসন বলেছেন, ‘আমরা যা জানতাম, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত নয়, এই রায়টি তাই নিশ্চিত করেছে৷ তিনি রানি এবং দেশকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন এবং জনগণের প্রতিনিধিদের অবৈধভাবে চুপ করিয়ে রেখেছেন৷’ সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন