বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিন্দুকে এত টাকা!

ক্যাসিনো চক্রের আওয়ামী লীগ নেতা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে সরকার। টেন্ডারবাজি, জুয়া ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেতারা গ্রেফতার হচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই শুদ্ধি অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, সমাজের অসঙ্গতি এখন দূর করব। একে একে সব ধরতে হবে। জানি কঠিন কাজ, কিন্তু আমি করব। দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানীকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ক্যাসিনোগুলোতে অভিযান চলছে। অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। নজরদারিতে রয়েছে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট। সম্রাটসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ নেতা র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে। সম্রাট ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ বেশ কিছু নেতার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকায় র‌্যাবের অভিযানে পাওয়া গেছে সিন্দুক। সেখানে শুধু টাকা আর টাকা। এটি কোনো ব্যাংকের সিন্দুক না।

গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁঁইয়ার তিনটি বাসার সিন্দুক থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে র‌্যাব পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা এবং ৭৩০ ভরি স্বর্ণ জব্দ করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় গুলিসহ ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি র‌্যাব। সর্বপ্রথম গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পাশাপাশি তার মালিকানাধীন ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়। একই দিনে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালিয়ে এর সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। খালেদ মাহমুদ, জি কে শামীম ও ফিরোজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক শফিউল্লাহ বুলবুল জানান, গোয়েন্দা তথ্য ছিল গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসার জন্য পাঁচটি সিন্দুক কেনা হচ্ছে। এই সূত্র ধরে ৩১ নম্বর বানিয়ানগরের এনামুল হকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এই বাড়ির তৃতীয় ও পঞ্চম তলায় তিনটি সিন্দুক পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরুর পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিন্দুকগুলো খোলা হয়। তিনটি সিন্দুক থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ নগদ টাকা, আট কেজি বা ৭৩০ ভরি সোনার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য চার কোটি টাকা। বাসা থেকে পঁাঁচটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা থেকেই বানিয়ানগরের এই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব অভিযান শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার। সেখান থেকে পাওয়া লভ্যাংশের টাকা দিয়ে সোনা সিন্দুকে লুকিয়ে রাখতো সে। নগদ টাকা রাখতে বেশি জায়গার প্রয়োজন, সেজন্য টাকাগুলো নিয়ে এসে সোনায় কনভার্ট করতো। এনামুলের ভাই গেন্ডারিয়া থানা অওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো দিয়ে এনামুল ও রুপন ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো বলে র‌্যাবকে জানিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযানের আগেই পালিয়েছে রুপন। বাড়ির অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব জানতে পেরেছে এনামুল এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। রূপনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

কর্মচারীর বাসার সিন্দুকে ২ কোটি টাকার বান্ডিল
গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হকের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায়ও অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানেও একটা সিন্দুক থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরের পর রাজধানীর নারিন্দায় আবুল কালাম আজাদের বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, এনামুল ক্যাসিনোর অবৈধ টাকা সিন্দুকে রাখতেন। তবে টাকা সিন্দুকের ভেতরে বেশি জায়গা নেয় বলে, সেই টাকাকে স্বর্ণে কনভার্ট করে ফেলতেন। এছাড়া এনামুলের রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি বাড়ি রয়েছে। ক্যাসিনোর অবৈধ টাকায় এসব বাড়ি ক্রয় করা হয়েছে। ক্যাসিনো ও অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সূত্রাপুরের বানিয়ানগরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতা এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়ার বাসায় র‌্যাব-৩ এ অভিযান চালিয়েছে।

ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের দুই নেতা। গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত জাহান বলেন, এনামুল হক থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আর রুপন ভূঁইয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা এ দু’জনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। সূত্র জানায়, এনামুল ও রুপনরা ৬ ভাই। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও রুপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলত। কিন্তু তিন-চার বছর আগে তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি কেনা শুরু করে। যে বাড়িটি র‌্যাব অভিযান চালায় সে বাড়িটি দেড় বছর আগে হারুনুর রশীদ নামে একজনের কাছ থেকে তারা কিনেছেন। ভবনের চতুর্থ তলায় এনামুলের শ্যালক-শাশুড়ি থাকেন। র‌্যাব সূত্র জানায়, এই চতুর্থ তলার সিন্দুক থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। আরেকটি সিন্দুক থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।

২ কোটি টাকা আ.লীগ নেতার বন্ধুর বাসায়
নারিন্দায় গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হকের বন্ধুর বাসায় গতকাল তৃতীয় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে নগদ দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। তৃতীয় অভিযান নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, তৃতীয় অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২/১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালাই। তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের বন্ধু হারুন অর রশিদ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, সেখানেও একটি সিন্দুক আছে। সিন্দকে অবৈধ টাকা রাখা আছে।

তিনি বলেন, হারুনের বাসায় প্রবেশ করে আমরা দেখতে পাই, খাট ও ওয়ারড্রবের মাঝামাঝি একটি সিন্দুক। সেখান থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় এনামুলের বন্ধু হারুন বাসায় ছিলেন না। সে স্থানীয় ট্রাকস্ট্যান্ডের কর্মচারী। হারুনের স্ত্রী জানান, তারা এ অর্থের বিষয়ে কিছুই জানেন না। কয়েক দিন আগে এনামুল এসে টাকাগুলো বাসায় রেখে যান। মঙ্গলবার পরিচালিত তিনটি অভিযানে মোট পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, টাকাগুলো অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আরও বলেন, প্রথম অভিযানে আমরা পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করি। দ্বিতীয় অভিযানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
আবদুল কাদের ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
ওরা টাকার বস্তা মাথার নিচে দিয়ে ঘুমায়। আমরা সেই টাকার ছবি টিভিতে দেখে ঘুমাতে যাই।
Total Reply(0)
Syed Mahbubuzzaman ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
Only the little once are getting caught. Big guys are still untouchable
Total Reply(0)
Ibrahim Mahadi ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 0
পৃথিবীর সীমাহীন দুর্নীতি ও লুট পাটের দেশ বাংলাদেশ।
Total Reply(0)
Md Shamim Hasan ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
A lot of money of the state treasure is now on the hands of few people of Bangladesh.
Total Reply(0)
Limon Syed ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
যারা টাকা নিয়ে বিপদে আছেন তারা দয়া করে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিবেন না, অথবা নষ্ট করবেন না। গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেন,, সওয়াব টা অন্তত পাবেন।
Total Reply(0)
Naim Uddin ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
সাবাস, সাধারণ মানুষের কাছে টাকা না থাকলেও আ. লীগের নেতাদের টাকার অভাব নেই ।
Total Reply(0)
Rowshan Chowdhury ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে ধন্যবাদ জানাই
Total Reply(1)
Md. Jasim Uddin ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:২১ এএম says : 4
ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য না কারণ তারা অনেক আগে থেকেই এসব জানত। কিন্তু সরকারের সবুজ সংকেত ব্যতীত তাদের এসব করার সৎ সাহস নেই। তাদেরও অনেকে এর সাথে জড়িত।
Reazul Islam Ripon ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
এভাবে সব দুর্নীতিবাজদের অর্থ বের করা হোক এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।তাহলে সোনার বাংলাদেশ গড়তে বেশি সময় লাগবে না।
Total Reply(0)
ash ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:১৭ এএম says : 0
JOTO PARA JAY AK SHATHE SHOB BAL ER CHAMCHADER BASHAY HANA DITE HOBE, NA HOLE NIJEKE BACHAR JONNY BOGURAR MOTO TRUCK E KORE TAKA FELE DIBE ! AIRPORT , STHOL PORT OBOSHO E SHOJAGE RAKTE HOBE JENO PALATE NA PARE
Total Reply(0)
জুলফিকার আলী ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:৫৭ এএম says : 0
দূর্নিতি বাজদের ক্রসফায়ার করা হোক।
Total Reply(0)
ash ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৫ এএম says : 0
E VABE E BANGLADESH ER WNNOOON HOCHE !! HAHAHA WNNOON ER NOMUNA
Total Reply(0)
Mustafa Ahsan ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:০৭ এএম says : 0
অনতি বিলম্বে আওয়ামি লীগের সবচেয়ে বড় ডোনার এবং পারটি ফান্ডের দীর্ঘ দিনের পরিক্ষীত বন্ধু বাংলাদেশ এবং সিংগাপুর ক্যসিনো জগত এর মুকুটহীন বাংলার আওয়ামি সমরাটকে তার দল বল সহ ধরা হোক।না হলে এই অভিযান লোক দেখানো হিসাবে বিবেচিত হবে।বি এন পি একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল এত বড় একটি দুর্নীতি গ্রস্ত দলের বিরুদ্ধ তারা রাজপথে কোন অবসতানই নিতে পারলো না ।জনগনকে সাথে নিয়ে এই অবৈধ জুয়াডী সরকারকে পদত্যাগে বাদ্য করার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হোক।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫০ এএম says : 0
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী রাজনৈতিক নেতাদের শত শত বার বলার নির্দেশ দেওয়ার পর ও সবাই অবৈধভাবে অর্থ সম্পদ মালিক হতে যত রকমের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রের গোয়েন্দা আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে থেকে সব তথ্য আমলনামা বাদশার দরবারে পেশ করা হলো। এতো বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রবাহ মান লৌহ মানবী। অন্যায় অবিচার শোষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সংগ্রাম। ইতিহাসের বিশাল অর্থনৈতিক শক্তিশালী উন্নয়নশীল দেশ আকাশ বিজয় সমুদ্র বিজয় বিশ্ব ব্যাংকের চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক যুদ্ধে বিশাল পদ্মা সেতুর সাহসী প্রদক্ষেপ শতভাগ বিজয়ী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। পেরেছেন একমাত্র কারণ তাহার দমনীতে বঙ্গবন্ধুর শহীদি রক্ত প্রবাহিত। সব প্রশংসার উদ্ধে। আমি আদা ব্যাপারী বঙ্গবন্ধু প্রধান মন্ত্রীর সম্মানিত করার কণা পরিমাণ যোগ্যতা নেই। জাতীয় স্বার্থে দেশের স্বার্থে উন্নয়ন অগ্রগতি স্বার্থে রাজনৈতিক যোগ্যতার স্বার্থে সমস্ত প্রশাসনিক যোগ্যতার স্বার্থে। সারাবিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী নেতা আবার ক্ষতবীক্ষত রক্তাক্ত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের জীবন বাচানোর জন্য। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ মানবতার মা নামে সম্মানিত করলেন। গতকাল বিশ্ব সবাই আবার ও মানব সেবার কারণে পুরুষ্কার পেলেন। এই রকম নেতা ভাগ্যবান জাতি পেয়ে থাকেন। জাতির আশা আকাংখা আশা ভরশার শেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগ তাহার সহযোগি সংঘটন দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। দেশের সব শ্রেণি পেশায় মানুষ একবার চিন্তা করুন গত শতাব্দী এবং আগামী শতাব্দীর পর শতাব্দী অপেক্ষা করলেও এই বিশাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী বঙ্গবন্ধুর কন্যার মত আরেক জন নেতা পাওয়া যাবে? নিপ্চয় না। আমরা চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অভিনন্দন জানায় বাংলা মায়ের সাহসী সন্তান র‍্যার পুলিশ আইন শৃংখলা বাহিনীর সমস্ত সদস্য কে অভিনন্দন জানায় জাতীয় পত্র পত্রিকার সাংবাদিক সমাজের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার। আর শোকরিয়া আদায় করছি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর। শিরোনাম লকারে টাকা আর টাকা। লকারে ব্যাংকে গোপন কুটরী অবৈধভাবে উপার্জিত হারামের অর্থ অর্থের মালিকের করুন পরিনতি শুরু হয়েছে। শুধু একটি অনুরোধ নির অপরাধ মানুষ হররানীর কবলে না পড়েন। আইন শৃংখলা বাহিনী। অভিযান নেতৃত্বে প্রশাসন গভীর ভাবে সাবধান মাফিয়াদের রাজনৈতিক গড় ফাদার আছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন