বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শিক্ষকের মন্তব্য ঘিরে বিক্ষোভ, নিহত ২৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫১ এএম

ইন্দোনেশিয়ার চলমান বিক্ষোভের একদিনেই অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছে বেশি।

বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে শুরু হওয়া সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ঘটনায় গত সোমবার পশ্চিম পাপুয়ার শহর ওয়ামেনা ও জয়পুরায় এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কয়েকশ বিক্ষোভকারী পশ্চিম পাপুয়ার আঞ্চলিক রাজধানী ওয়ামেনায় একটি সরকারি ভবনসহ আরও বেশ কিছু ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন জ্বলন্ত ভবনে আটকা পড়ে নিহত হয়। এসব ভবনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এতে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এছাড়া প্রাদেশিক রাজধানী জয়াপুরায় পৃথক ঘটনায় আরও চারজন নিহত হয়েছে। সেখানে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীরা এক সেনা ও পুলিশ সদস্যের ওপর রামদা ও পাথর নিয়ে হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।

বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। সহিংসতার জন্য বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাকে দায়ী করছে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ।

এক শিক্ষকের বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। ওই শিক্ষকের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

গত মাসে সুরাবায়াতে স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পাপুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার পতাকা নষ্টের অভিযোগ তোলে একটি জাতীয়তাবাদী গ্রুপ। ওই গ্রুপটি তখন শিক্ষার্থীদের ‘বানর’, ‘শুকর’ ও ‘কুকুর’ বলে অভিহিত করে। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। তুমুল বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার পর আবার সহিংসতার ঘটনা ঘটলো।

পশ্চিম পাপুয়ার একটি স্বাধীনতাকামী গ্রুপের এক মুখপাত্র জানান, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক শিক্ষকের বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে ওয়ামেনাতে সহিংসতা শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই স্কুল শিক্ষার্থী।

তবে পাপুয়া পুলিশ এই দাবি অস্বীকার করে একে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

পাপুয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইকো দারিয়ানতো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সোমবারের সহিংসতা থেকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অসংখ্য বেসামরিক মানুষ জ্বলন্ত ভবনে আটকা পড়ে বলে জানান তিনি।

সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন