ব্যক্তি হিসেবে চুনোপুঁটি হলেও অনেকে দুর্নীতিতে রাঘববোয়াল হয়েছেন। অপরাধী যত বড় আর যত ছোটই হউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে সাভার সেনানিবাসের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় তিনি কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসহ দেশের নানান কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, লোক দেখানো নয়, দুর্নীতি মাদক জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সরকার, সহনশীল হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
তিনি আরও জানান, যাদের ধরা হচ্ছে তারা সত্যিকারের অপকর্মকারী। সত্যিকার অর্থেই অপকর্মকারীরাই অভিযানের মুল টার্গেট। শুধু ঢাকাতেই এই অভিযান সীমাবদ্ধ নয়। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, কুতুবদিয়া থেকে তেতুলিয়া সারা বাংলায় এই অভিযান চলবে। শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার এ্যাকশন।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের সময় দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মদ জুয়ার আসর বসেছিলো কিন্তু তাড়া কোন ব্যবস্থা নেয়নি কিন্তু আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই ক্যাসিনোর শুরুও হয় হাওয়া ভবন থেকেই।
দেশে টেন্ডারবাজি সন্ত্রাস দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না। যতদিন পর্যন্ত দেশে দুর্নীতি থামবে না ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যা পারেনি শেখ হাসিনা তা পেরেছেন।
সামনে আওয়ামীলীগের সম্মেলন, এই সম্মেলনের সঙ্গে শুদ্ধি অভিযানের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার মেজর জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনষ্ট্রাকশন ব্রিগেড ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল এস এম আনোয়ার হোসেন, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা নির্বাহি অফিসার পারভেজুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিনসহ আরো অনেকেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন