পাবনা এখন ভয়াবহ যানজটের শহর। হেঁটে চলাই দুষ্কর। শহরে ব্যটারি চালিত রিকশা প্রায় ১০ হাজার। ইজিবাইক অটোরিকশা ৬ হাজারের উর্ধে। সব মিলিয়ে এক অভাবনীয় যানজটের সৃষ্টি করে চলেছে। এক সময় পাবনা পৌরসভা এসব গাড়ির কোনো লাইসেন্স প্রদান করতোন না। এখন কর আয়ের লক্ষ্যে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। বৈধতা পাচ্ছে এসব দুর্বল যানগুলো।
তবে বিআরটিএ কোনো শর্ত এই যানবাহনগুলো পূরণ করে না। যে কারণে বিআরটিএ এসব যানবাহনকে কোনো রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে না বলে জানালেন, রাজশাহী বিভাগীয় বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এএসএম কামরুল হাসান।
এদিকে, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা বেকারদের আয়ের উৎস হলেও এগুলো নাগরিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। ছোট শহরের আব্দুল হামিদ রোডের সড়ক এপার ওপার হতে মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট। সবাই এই যান চালাতে ঝুঁকে পড়ায় কৃষি ক্ষেত্রে শ্রমিকের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। আগে যারা কৃষি মাঠে শ্রম দিতেন, তারা এখন ইজিবাইক, ব্যাটারি অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত রিকশা চালাচ্ছেন। আয় হচ্ছে বটে তবে নাগরিক জীবনে নানমুখী সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব যানবাহন যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ছাড়াও বিদ্যুতের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে এসব যানের ব্যাটারি চার্জ দেয়ার ঘর। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। অনেকে বলছেন, এরা বৈদ্যুতিক লাইনে হুক লাগিয়ে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন । এগুলো দেখার জন্য নেসকোর কি কেউ নেই?
অভিজ্ঞজনেরা বলেছেন, কোনো কোনো জেলায় জেলা প্রশাসন এই সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, আবার কোনো জেলায় এদের সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে।
একেবারে এই সব যান চলাচল বন্ধ না করে এদের সংখ্যা সীমিত করে আনার কথাও বলছেন অনেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন